Join to Our Community
Community Grows With You

Bangla Kobita: Atosbaji ~ আতসবাজি

Introduction

Atosbaji (আতসবাজি) কবিতা বর্ণনা করা হয়েছে দীপাবলির রাতে ফাটানো আতসবাজিকে কেন্দ্র করে। দীপাবলির রাতে আজও আতসবাজির প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। বহু প্রতিযোগী আসে পুরষ্কার জেতার জন্যে। জেতার আনন্দ একসময় নেশায় পরিনত হয়। সেই নেশা যখন মাথায় চড়ে বসে তখন অভিনব উপায় ফন্দি আঁটে, নতুন কিছু করার ইন্ধন পায়। 

কথায় আছে, বনের বাঘকে পোষ মানাতে নেই, আগুন নিয়ে খেলা করতে নেই। কারন একটাই উভয় ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। যে কোন মুহূর্তে জীবন যেতে পারে। আতসবাজি বানাতে গিয়ে বহু লোক, বহু সন্তান, বহু ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাতে কি? দীপাবলি আসে বছর ঘুরে, আতসবাজির রোশনাই অন্ধকারের বুকে আঁকিবুঁকি কাটে, আনন্দের মধ্যে দুঃখ ঢাকা পড়ে যায়। তবে দুঃখের ক্ষত থেকে যায় স্বজনের মধ্যে। আতসবাজির রোশনাই তা কখনই আলোকিত করতে পারবে না।

আতসবাজি

নৈশরাতির ভোজবাজি!

রোশনাই আঁধারের বুকে আঁকিবুঁকি!

নিকেশ কালো আঁধার কাটে,

রঙবেরঙের আতসবাজি!

মিষ্টতার চরাস্রোতে ভাসে জলসাঘর,

শূন্য চোখে খেলে কত হাসির রব!

গুমট হাওয়ায় পাক খায় বারুদের তীব্র গন্ধ;

এই গন্ধ ওই শব্দ অনেক চেনা! সময়ের একটা সময় থামের আড়ালে আজও বন্ধ।

ওটা নয় কোনও তোপের শব্দ! নয় গোলাগুলির গন্ধ!

আজ নয় কোনও নবাব-শাহাজাদার রণক্ষেত্রের যুদ্ধ প্রস্ততি!

আজ দীপাবলি! ছোটো হাতে পাক খায় রংমশাল-ফুলঝুরি।

ঘরে দোরে প্রদীপ জ্বলে, শিখা কাঁপে মৃদু মৃদু তারি

টিমটিমে শিখা করে আলিঙ্গন হাওয়াতে, আলেয়ার আলো দেয় মোমবাতি।

ঝাড়বাতিসব চেয়ে রয় মলিন মুখে, রাস্তায়-দেওয়ালে-গাছে-ব্যাল্কনি-করিডরে;

লম্বা লম্বা চেনের বাহারি বাল্ব রয়েছে ঝুলে, হারিয়ে যায় বিস্ময়ের অতলে!  

আশমান গোলার তোপে কেঁপে ওঠে ভূমি,

নিঝুম আকাশের বুকে খোদাই হয় আলপনা রংবেরঙ্গি!  

কখনও এপ্রান্তে কখনও ওপ্রান্তে ওই দূর দিগন্তে;

সবাই খুশি! সবাই আমোদিত! আচ্ছন্ন খুশির আবেশে।

অসংখ্য ফানুস দলে দলে দেয় পাড়ি শূন্যে, ছাদ-টাওয়ার-টিলা টপকে

পূর্বপুরুষদের চোখগুলো খুশিতে জ্বলে ওঠে তারা হয়ে অন্ধকারে দেয় উঁকি!  

দেখানো সাঁঝবাতি জানায় শ্রদ্ধাপ্রনাম রাশিরাশি।

দুধের শিশু বিস্মিত নয়নে দেখে আকাশপানে রংবেরঙ্গি আতসবাজি;

ধীরে ধীরে নড়বড়ে পায়ে বৃদ্ধ দাদার সাথে পাল্লা দিয়ে করে রেষারেষি।

বুঝতে শিখে বাবার ন্যাওটা সে, বানাতে দেখে বাবাকে নানান আতসবাজি;

রঙিন রঙমশাল, হাতচড়কি, মালা রকেট, পেল্লাই ভাঁড়ে তুবড়ি!      

এপাড়া ওপাড়া, এক্লাব ওক্লাবে তুবড়ির প্রতিযোগিতায় ঢেলে দেবে রং, দেখাবে তার গতি;

আশায় বুক বেঁধেছেন বাবা, ঠোঁটের ফাঁকে হাসি ও জ্বলজ্বলে চোখেতে তাই স্পষ্ট,

পুরষ্কার পাওনাটা হবে নিঃসন্দেহে বড়, যদি মেলে ধরে অদৃষ্ট!

মাস ঘুরে মাস আসে, দীপাবলি আসে ফিরে বছর ঘুরে।

বয়স তখন পাঁচ, ছোট্ট ছেলেটি চেয়ে রয় আকাশ পানে বিস্ফোরিত নয়নে,

দেখে সে রংবেরঙ্গিন আতসবাজি, থেকে থেকে লাফিয়ে ওঠে আনন্দ উচ্ছ্বাসে!

বয়স বাড়ে, সাহস বাড়ে, দাদার হাত ধরে জ্বালাতে শেখে রঙমশাল, ফুলঝুড়ি;

বাবার হাত ধরে কাঁপা কাঁপা হাতে রঙমশাল দিয়ে জ্বালায় তুবড়ি।

বোতলে হাওয়াই রেখে পাটকাঠির অগ্নিসংযোগ, কৌটো ভরে ফাটায় বোম;

ভয়ে ভয়ে পেছন পায়ে দৌড়, নেয়ে ঘেমে হাড়হিম, দ্রুত হৃৎস্পন্দন।

দাদু হেসে যোগায় সাহস, ‘ভয় পেলে চলবে কেমনে? দাদা আমার তেজি ঘোড়া!’

বাবা দেন অভয় ‘লোকে বলবে ভিতুর ডিম! মান যাবে খোয়া’।

 দিন যায় দিন আসে, দীপাবলি আসে ফিরে বছর ঘুরে।

বয়স তখন দশ, বন্ধুবান্ধব সঙ্গ করে হাজির বাজির আড়তে,

দরদাম, কেনাকাটা, মন টানে সেই বাজি! আতসবাজি!

স্বল্প টাকাতে অল্প বাজি! মন থেকে যায় সেই খালি।

বাবাকে দেখেছে সে বানাতে তুবড়ি, সেই পথে নেমে পড়া বন্ধু যখন সাথী;

জেদ চড়ল রগে, একদিকে আতসবাজি অন্যদিকে পুরস্কারের হাতছানি।

প্রতিযোগিতায় সফলতার হাতছানি, যেন নরখাদকের মুখে লেগেছে রক্তের স্বাদ!

অন্যকে হারিয়ে জেতার খিদেটা ভেতরে ভেতরে গেছে বেড়ে, রক্তকোষ করছে প্রতিবাদ!

দাদুর গলায় গর্বের চড়া সুর ‘দেখেছ তোমরা! নাতি আমার তেজি ঘোড়া!’

বাবার গলায় খুশির জোয়ার ‘তোমরাই দেখো! যেমনি বাপ, তেমনি ব্যাটা!’

মা যান বেজায় চটে ‘ যতসব আদিখ্যাতা! তোমাদের আশকারাতে যাচ্ছে উচ্ছুনে ছেলেটা!’

বয়স তখন পনের, তরতাজা রক্ত, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, টিনেজের প্রারম্ভ;

 জেতার জেদ বাড়িয়েছে খিদে, এবার জেতার লক্ষ্যে এখন থেকেই করতে হবে তোড়জোড়।

অর্ডার দিয়েছে কুমোরের ঘরে, বানাতে হবে বিশেষ মাপের বড় শক্ত খোল,

দিন রাত এক করে, ছোট্ট চালা ঘরে বাল্বের আলোয় মশলা তৈরিতে ব্যাস্ত খুদের দল।

কেউ ছাঁকছে গুঁড়ো কাঠকয়লা, কেউ পিষছে গন্ধক, কোথাও সযত্নে রাখা বারুদের ঢিপি,

কেউ ভরছে মশলা তুবড়ির খোলে, কেউ ঠেসছে মাটি জোরে আরও জোরে, পাশে তারি সারি।

আচমকা প্রচণ্ড শব্দে বাল্ব ফেটে পড়ল বারুদের স্তূপে জ্বলন্ত ফিলামেন্টটি।

চারিদিক অন্ধকার! চিরচির শব্দ! অসংখ্য আলোর ফুলকি!

প্রচণ্ড বিস্ফোরণে এলাকা গ্রাস করে জ্বলন্ত ধোঁয়ার কুণ্ডলী।

এলাকা ঘিরে জড়ো হয় এলাকাবাসী! কান্না শোরগোলে করুন মূর্ছিত পরিস্থিতি!

পুলিশের ঘেরাটোপে ছিন্নভিন্ন দেহগুলোকে সনাক্ত করতে ব্যস্ত পরিবার পরিজন।

সপ্তাহ ঘুরে আসে দীপাবলি! আতসবাজি আশমানগোলা চারিদিক আলোর রোশনাই!

আজও সে ভালবাসে আতসবাজি, তবে আজ সে মানুষ নয়, আজ সে অশরীরী!

অন্ধকারে চোখ দুটো ওঠে জ্বলে তারা হয়ে, দূরে বহুদূরে!

কাছে এলেই বিপদ! অমাবস্যা রাতে দুষ্ট তান্ত্রিকের ঝোলায় হবে বন্দী!

আরও দুটো চোখ তারা হয়ে জ্বলে পিছে,

ফিসফিসিয়ে বলে কানে ‘দাদা আমার তেজি ঘোড়া!’

অস্ফুটে কঁকিয়ে ওঠে নাতি ‘দাদা! তুমি এখানে এলে কেমনে?’

বিষণ্ণ হেসে দেয় জবাব ‘কষ্টের চেয়ে শান্তি ভালো!

নিসঙ্গতার চেয়ে মরন ছিল অনেক ভালো! তাই মরন নিলে ডেকে।’

ATOSBAJI

Noishoratir Bhojbaji!

Rosnai Andharer Buke Ankibunki!

Nikesh Kalo Aandhar Kate,

Rongberonger Atosbaji!

Mistotar Chorasrote Vaas’e Jolsaghor,

Sunnyo Chokhe Khele Koto Haasir Rob!

Gumot Haowai Paak Khay Baruder Tibro Gondho;

Ei Gondho Oi Sabdo Onek Chena! Somoyer Ekta Somoy Thamer Aarale Ajo Bondho.

Ota Noi Kono Toap’er Sobdo! Noi Golagulir Gondho!

Aaj Noi Kono Nawab-Sahajadar Ronokhetrer Yuddha Prostuti!

Aaj Diwali! Chhoto Haate Paak Khai Rongmosal-Phuljhuri.

Ghore Dore Pradip Jole, Sikha Kanpe Mridu-Mridu Tari

Timtim’e Sikha Kore Alingon Haowate, Aleyar Alo Dei Mombati.

Jharbati Sob Cheye Roy Molin Mukhe, Rastai-Deowale-Gachhe-Byalkoni-Corridor’e;

Lomba-Lomba Chain’er Bahari Bulb Royechhe Jhule, Hariye Jai Bissoyer Otole!

Aasman Golar Tope’e Kenpe Othe Bhumi,

Nijhoom Akasher Buke Khodai Hoy Alpona Rong-Berongi.

Kokhono E’Prante Kokhono O’Prante Oi Dur Digonte;

Sobai Khusi! Sobai Amodito! Acchonno Khusir Aabeshe.

Osonkhya Fanus Dol’e Dol’e Dei Pari Sunye, Chhad-Tower-Tila Topke;

Purbopurushder Chokh Gulo Khusite Jwole Othe Tara Hoye Ondhokare Dei Unki!

Dekhano Sanjhbati Janai Srodhha-Pronam Rashi Rashi.

Dudher Sishu Bissito Noyon’e Dekhe Akashpan’e Rongberongi Atosbaji;

Dhire Dhire Norbore Paye Briddho Dadar Sathe Palla Diye Kore Resa’Resi.

Bujhte Sikhe Babar Nyaota Se, Banate Dekhe Baba’ke Nanan Atosbaji;

Rongin Rongmosal, Haatchorki, Mala Rocket, Pellai Vaar’e Tubri!

E’Para O’Para, E’Club O’Club’e Tubrir Protijogitai Dhele Debe Rong, Dekhabe Tar Goti;

Aashai Buk Bendhechhen Baba, Thonter Faake Haasi O Jwol-Jwole Chokhe’te Tai Spost??

Puroskar Paownata Hobe Nisondhe Boro, Jodi Mele Dhore Odristo!

Maas Ghure Maas Aas’e, Dipaboli Aas’e Phire Bochhor Ghure.

Boyosh Tokhon Paach, Chhotto Chheleti Cheye Roi Akash Paan’e Bisforito Nayone,

Dekhe Se Rongberongin Atosbaji, Theke Theke Lafiye Othe Anando Uchhas’e!

Boyosh Bare, Sahos Bare, Dadar Haat Dhhore Jwalate Sekhe Rongmoshal, Phooljhuri;

Babar Haat Dhore Kaapa Kaapa Haate Rongmosal Diye Jwalai Tubri.

Bottle’e Hawai Rekhe Patkathir Agnisonjog, Kouto Bhor’e Fatai Bomb;

Bhoy’e Bhoy’e Pechhon Paa’ye Dour, Neye Gheme Haarhim, Druto Hritspondon.

Dadu Heshe Jogai Sahos,’Bhhoi Pele Cholbe Kemone? Dada Amar Tezi Ghora!’

Baba Den Ovoy ‘Lok’e Bolbe Vitoor Dim! Mon Jabe Khoya’.

Din Jai Din Aas’e, Dipaboli Aas’e Phire Bochhor Ghure.

Boyos Tokhon Dosh, Bandhu-Bandhob Songo Kore Hazir Bajir Aarote,

Dordaam, Kena Kata, Mon Tane Sei Baji! Rongberongin Atosobaji!

Swalpo Takate Olpo Baji! Mon Theke Jai Sei Khali.

Baba’Ke Dekhechhe Se Banate Tubri, Sei Path’e Ne’me Pora Bandhu Jokhon Sathi;

Zed Chorlo Rog‘e, Akdike Atosbaji Onnyodik’e Puroshkarer Haatchhani.

Protijogitai Sofolatar Haatchhani, Jeno Norokhadoker Mukhe Legechhe Rokter Swad!

Onno’Ke Hariye Jetar Khideta Vetor’e Vetor’e Gechhe Be’re, Roktokosh Korchhe Protibad!

Dadur Golai Gorber Chora Sur ‘Dekhechho Tomra! Naati Amar Tezi Ghora!’

Babar Golai Khusir Jowaar ‘Tomrai Dekho! Jemni Baap, Temni Byata!’

Maa Jan Bejaay Chot’e ‘Joto Sob Adikhheta! Tomader Aashkarate Jachhe Uchhune Chhele’ta!’

Boyos Tokhon Ponero, Tortaza Rokto, Druto Hritspondon, Teenage’R Praromvo;

Jetar Zed Bariyechhe Khide, Ebar Jeetar Lokkye Akhon Thekei Korte Hobe Torzoor.

Order Diyechhe Kumorer Ghore, Banate Hobe Bisesh Maap’er Sakto Khol,

Din Raat Ek Kore, Chhotto Chala Ghore Bulb’er Aaloi Mosla Toirite Byasto Khuder Dol.

Keu Chhakchhe Guro Kathkoila, Keu Pischhe Gondhok, Kothao Sojotne Rakha Baruder Dhipi,

Keu Vorchhe Mosla Tubrir Khole, Keu Theschhe Mati Jore Aro Jore, Pashe Tari Sari.

Achomka Prochondo Sobde Bulb Phete Porlo Barud’er Stupe Jwalonto Filament’ti.

Charidik Ondhokar! Chirchir Sobdo! Osonkhyo Alor Foolki!

Prochondo Bisforone Elaka Grass Kore Jwolonto Dhowar Kundoli.

Elaka Ghire Joro Hoi Elakabasi! Kanna Sorgole Korun Murchhito Poristhiti!

Police’er Gheratop’e Chhinno-Vinno Dehoguloke Sonakto Korte Byasto Poribar Porijon.

Soptaho Ghure Aas’e Dipaboli! Atosobaji Asmangola Charidik Alor Roshnai!

Ajo Se Valobase Atosbaji, Tobe Aaj Se Manus Noi, Aaj Se Osoriri!

Ondhokare Chokh Duto Othe Jwole Tara Hoye, Dur Bohu Dure!

Kachhe Elei Bipod! Omabosya Raat’e Dusto Tantrik’er Jhholai Hobe Bondi!

Aro Duto Chokh Tara Hoye Jwole Pichhe,

Fisfisiye Bole Kane ‘Dada Amar Tezi Ghora!’

Osfoot’e Kokiye Othe Naati ‘Dada! Tumi Ekhane Ele Kemone?’

Bisonno Hese Dei Jobab, ‘Koster Cheye Shanti Valo!

Nisongotar Cheye Moron Chilo Onek Valo! Tai Moron Nile Deke’.

Bangla Kobita: Duare Amar Dariye Achhe Vobissot ~ দুয়ারে আমার দাঁড়িয়ে আছে ভবিষ্যৎ

Bangla Kobita: Jiboner Mulyayon ~ জীবনের মূল্যায়ন

Bangla Kobita: Holigun O Hooligan ~ হোলিগান ও হুলিগান

Bangla Kobita: Manus Robot O Robot Manus ~ মানুষ রোবট ও রোবট মানুষ

Bangla Kobita: Ondho Valobasa Naki Valobasa Ondho ~ অন্ধ ভালবাসা নাকি ভালোবাসা অন্ধ

Bangla Kobita: Rajnitir Pichhe Chole Rajniti ~ রাজনীতির পিছে চলে রাজনীতি (Politics Run Behind Politics)

Bangla Kobita: Ghungurer Murchhona ~ ঘুঙুরের মূর্ছনা

 

Join to Our Community
Community Grows With You
x

This website uses cookies.