daextlwcn_print_scripts(false);
Bangla Kobita_ Protibeshi_ প্রতিবেশী

Bangla Kobita: Protibeshi ~ প্রতিবেশী (The Neighbour)

1 min


157
126 shares, 157 points

Introduction
 

Protibeshi (প্রতিবেশী) কবিতার মূলবিষয় প্রতিবেশীকে (The Neighbour) নিয়ে। বর্তমানে ফ্ল্যাটের চার দেওয়ালে বন্দী হচ্ছে পরিবার। কাজের প্রয়োজনটুকু ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোতে চায় না। বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেলামেশা, আড্ডা হয় না। ঘরের মধ্যেই বন্দি থেকে টিভি, সিরিয়াল, কম্পিউটার, মোবাইলে মনোরঞ্জন খুঁজে পায়। 

এর প্রধান কারন হল- সামাজিক অবক্ষয় যেমন চুরি-ছিনতাই-চিটিং-খুন-ধর্ষণ প্রভৃতি। ফলে মানুষ মানুষে বিশ্বাস কমেছে, পাশাপাশি আন্তরিকতা কমেছে, দূরত্ব বাড়ছে। প্রত্যহ নিউজপেপারে ফুটে উঠছে  অবক্ষয়ের ছবি। সমাজ ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। প্রত্যেক অবিভাবক অতিরিক্ত সতর্কতার ঘেরাটোপে বন্দী হয়েছে; পাশাপাশি  সন্তানদের  অপরিচিত সঙ্গত, এমনকি  বন্ধুসঙ্গ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বা বাধ্য করেছে। 

তাই দিনে দিনে লোক পরিচিতি, লোক সঙ্গত কমছে। একই আবাসনে আবাসিকরা পরিবার হতে পারছে না, প্রতিবেশীও হতে পারছে না। দেখলে মনে হয় ভিন্ন গ্রহের ভিন্ন জীব এক জায়গায় বসবাস করছে। 

সমিক্ষাতে দেখা গেছে, অর্থ স্ট্যাটাসের বেড়াতে আটকে গেছে প্রতিবেশীর দল ভিন্ন স্তরে। যাদের অর্থ কম, সমাজে তার স্থান নিচে, দুর্বল প্রতিবেশী রুপে গন্য করা হয়। যাদের অর্থ বেশি, তাদেরকে আজও বাকিরা সমীহ করে চলে, সকলের অজান্তে উঁচুতে স্থান দেওয়া হয়েছে। মধ্যবিত্তরা যথারীতি মাঝেরস্তরে। 

বিপদে পড়লে মানুষ, প্রতিবেশীরাই এগিয়ে আসে। সেখানে উঁচু -নিচু, বড়ো-ছোটো , ধনী-গরীবের কোনো বেড়া, কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে না।মানুষের জীবন আর তার রক্ষণই মূল উদ্দেশ্য। মানবিকতার জয় আজও হয়। প্রতিবেশীরা এখনও ফেলনা নয়।    

প্রতিবেশী The Neighbour

সময় চলে সময়ে, দিন আসে রাতের পর;

নদী বহে নিরন্তর, দূর থেকে দূরান্তর।

নিশি থেকে নৈশ্য, দিন থেকে দৈন্য;

ঘুরে ফেরে স্বপ্ন, ঘরে ঘরে ফেরে স্বপ্ন।

স্বপ্নের করি ফেরি, অজানাকে জানার ইচ্ছে, ইচ্ছেতেই চিনি,

ছুটি দেশ-বিদেশ, মরু থেকে জল, পাহাড় থেকে জঙ্গল,

অমূল্য দৃশ্যায়ন বন্দি হয় ক্যামেরায়, অচেনা তখন চেনা, অজানাকে জানি

কাছের জনা তবু ধোঁয়াশায়! পাশের লোক থেকে যায় অচেনা! অজানা থেকে যায় প্রতিবেশী। 

বাবার বুক গর্বে ভরে, “ছেলেকে করেছি ইঞ্জিনিয়ার”;

উচ্ছ্বসিত মা, উৎফুল্ল মনে জানায় প্রতিবেশীদের “মেয়ে হয়েছে ডাক্তার”।

অঙ্কুরিত গর্ব ডালপালা ছড়িয়ে এখন প্রকাণ্ড বৃক্ষ,

বহু কষ্টের আহুতিতে স্বপ্ন হয়েছে সাকার, মাটিতে পড়ে না পা দুজনার;

 আয়নায় আর নিজেদের ছবি ওঠে না ফুটে, প্রতিবিম্ব ত অন্যজনার।

ভুললে ত চলবে না, আমাদের আত্মা ওদের সত্বা আর নয় আলাদা!

অভিন্ন হৃদয়, অটুট বন্ধন, সবকিছু যেন মিলেমিশে একাকার;

ওদের মধ্যে আমাদের পাওয়া, ওদের মধ্যেই নিজেদের বাঁচা।

স্বার্থক হয়েছে জন্ম দেওয়া, রক্ষে করেছে সকলের মান,

স্বপ্ন করেছে সফল, সফল করেছে কষ্টের দাম।

বাবা-মা’র গর্বে ভরে বুক, ঘুম আসে না খুশিতে;

আমাদের চেয়ে আজ ক’জনা আছে সুখী এ জগতে?

মোবাইলে, মেলে, চ্যাটে, সোশ্যাল সাইটে, একানে-ওকানে

ঘুরে ফেরে অতীতের স্বার্থত্যাগের কথা, দুই পিঁড়ির অসম লড়াইয়ের কথা।

দৈনন্দিন কষ্টের সমাধিক্ষেত্রে আজি ফুটেছে ‘নিলাকুরিঞ্জি,

সব শান্ত, হৃদয় প্রশান্ত, নেই কোনো লড়াইয়ের চিহ্ন, চারিময় ‘ব্রহ্মকমলের‘ বাহারি।

উড়েছে নবপ্রজন্মের বিজয় পতাকা, নিজেতেই বিভোর, আনন্দলোকে মগ্ন।

গুনগুন গুঞ্জনে আনমনে সুর ওঠে, তোলে ঢেউ মন্দিরে, কাঁপে শরীর শিহরনে,

বুকের বোঝা পুড়ে ছাই, খুশির পরশে যায় উড়ে, ব্যাথা গলে ভেসে যায় আঁখি জলে।

আজ অঢেল সময়, হাতে হাত রেখে কেটে যায় দিন;

সন্তান হয়েছে মানুষ, বিদেশে কর্মরত, কর্মব্যাস্ত জীবন।

ফোনে-ফোনে হয় কথা, খবর আদানপ্রদানে খুশি দুজনাই,

এভাবেই গড়িয়ে চলে দিন, কেটে যায় রাত।

কোনো পার্টিতে, খুশির মরসুমে ঘুরে ফিরে উঠে আসে সেই অতীতের জীবনী;

ঝাঁঝালো গর্বের তেজে প্রতিবেশীরা হয়ে যায় অস্পৃশ্য, অচ্ছুত, ভিনগ্রহী।

স্ট্যাটাসে মেলে এমন সজ্জনদের সঙ্গে হয় মেলবন্ধন, করে করমর্দন,

স্থান দিয়েছে মনেপ্রাণে, যাতায়াত ঘরেদোরে, গড়ে ভিন্ন সেতুবন্ধন।

আমরা করেছি অনেক, দিয়েছি সময় অঢেল,

ভুলেছি লোকলৌকিকতা, ছেড়েছি আত্মীয়-পরিজন।

এরা কেমন পেরেন্টস! রাখে না কোনও খেয়াল ছেলেমেয়ের প্রতি;

পরচর্চায় ওদের কেটে যায় দিন, পরিচর্জায় ঘটে দিনের ইতি।

বুঝিয়ে দাও আবেভাবে, নিজের ভালো নিজে নাও বুঝে, তুলে নাও নোঙর ঘাড়ে

তোমার স্বপ্ন তোমার হাতে – পটুয়া তুমি পূজারীও তুমি! বুঝে নাও আজকে।

কারো প্রিয়জন থাকে না চিরকাল, একলাই চলতে হবে পথ, হতে হবে পারাপার;

সন্তানের ঘাড়ে চাপিয়ে ভার, এরা দিতে চান পগারপার?

ঘাড় যাই যাক বেঁকে, তৈরি হও এখন থেকে;

কর্কশ বাক্যে বিদ্ধ করে, জ্ঞানের বুলির গুলি ছুঁড়ে,

তুলনায় খোঁটা করে, ক্ষান্ত করে নিজেকে।

ওমন পেরেন্টস যা পারে, আমরা পারবও না কোনোদিন,

ক্ষমা করো ঈশ্বর! মানসিকতায় বাঁধে বারেবার হোক সেদিন বা এদিন! 

রক্তের তেজ কমে দিনেদিনে, বার্দ্ধক্য মেলায় হাত প্রৌঢ়তার সাথে;

সিরিয়াল-সিনেমায় খোঁজে জীবন, হাতে হাত রেখে বুড়ো-বুড়ির কাটে সময়।

মন মানতে চাই না কিছুতেই, কু’ দেয় সাড়া বারেবার-

‘তোরা অসহায়! খুব অসহায়! ভারি অসময়!’

সন্তানের প্রতিক্ষায় কাটে দিন, পার করে প্রহর।

বয়স বাড়ে যত, বুকে ভয় জমে তত,

বিপদ আসে যদি দুজনায় সামলাব কত?

আজ আছে সব, আছে অর্থ, পরিপাটি ঘর, পরিচর্যায় আয়া-চাকর,

শুধু বিপদে পাশে দাঁড়ানোর লোকের অভাব, অভাব আপনার,অমিল পরিজনার।

বাজারের পথে নামে অন্ধকার কর্তাবাবুর চোখের কোনে,

বুক ধড়পড়, প্রচণ্ড ব্যাথা, অস্বস্তি গ্রাস করে ক্ষনে।

সংজ্ঞা ফেরে ধীরে, আশেপাশে তৎপর নার্স, শুয়ে আছেন বেডে;

ডাক্তার জানায় ভয়ের কিছু নেই, হার্ট অ্যাটাক, আছেন আইসিউতে।

ওনাকে এডমীট করা হয়েছে ঠিক সময়ে, হতে পারত বিপদ;

এখন ভালো আছেন, বিপদ মুক্ত, চলবে মেডিসিন, ধন্যবাদ।

গিন্নী এসে জড়িয়ে ধরে, অজানা শান্তিতে বুকের জ্বালা জল হয়ে ঝড়ে চোখে,

ভাগ্যিস ছিল প্রতিবেশী সজ্জ্বন, ছিল প্রতিবেশীর ট্যাক্সি,

না হলে হতো সব শেষ! ভেবেই ভয়ে শিউরে ওঠে গা,

এযাত্রায় করেছেন রক্ষে উনি, প্রতিবেশীর রুপে ভগবান, জানায় শতকোটি প্রনাম।

ছেলেমেয়ে, আত্মীয় স্বজন, পুরো পরিবার আজ পাশে,

সাহস, আস্থা, আর্থিক সহায়তা বেড়েছে বহুগুণ সাথে,

তবু পাপবোধ কুড়ে খায়, আত্মগ্লানি বয়ে যায় চোরাস্রোতে।

স্ট্যাটাসের অহংকারে ছিলাম ভুলে, ওদের ভাবনায় ছিলাম মজে,

ওদের ভালোলাগাই ছিল প্রাধান্য, হারিয়ে ছিলাম ওদের মাঝে,

 ওদেরকে সময় দিতে দিতে নিজেরাই থেকে গেছি অবহেলিত দিনে দিনে। 

আজ বুঝি মর্মকথা মর্মেমর্মে, এই সমাজ গড়েছে মানুষ, মানুষ গড়েছে সভ্যতা;

সকলে নয়ত অসভ্য! মানুষ আছে মানুষের জন্য, মানুষ বাঁচে মানুষে,

আজও বেঁচে আছে আমাদের মাঝে বোধিসত্বা, রক্ষা করে মানবিকতা।

ভগবান হাসেন তৃপ্ত হাসি, বুঝলে নারদ মানুষ কেন শ্রেষ্ট, কেন মহান?

ওরা পারে নিজের ভুলকে নিজেই শুধরে নিতে,

অন্যের ভুলকে নির্বিধায় পারে ক্ষমা করে দিতে,

রক্তের সম্পর্ককে উপেক্ষা করে বিপদে আসে ছুটে।

হে প্রভু! এত কিছুর পরেও কিছুজনা থাকে নিজেতে মজে,

নেই আক্ষেপ, নেই হেলদোল, নেই পাপবোধ, নেই আশু!

ওহে নারদ! বুঝলে না কিছু! ওরা হল অধর্মি, অমানুষ, স্বার্থপর,

মানুষের নামে কলঙ্ক! মানুষের বেশে পশু!

Bangla Kobita_ Protibeshi_ প্রতিবেশী_3

PROTIBESHI – The Neighbour

Samoy Chole Somoye, Din Aase Raater Por;

Nodi Bohe Nirontor, Dur Theke Durantor.

Nishi Theke Noishyo, Din Theke Doinyo;

Ghure Fere Sopno, Ghore Ghore Fere Swopno.

Sopner Kori Feri, Ojana Ke Janar Icche, Icchetei Chini,

Chhuti Desh-Bidesh, Moru Theke Jol, Pahaar Theke Jungle,

Omulyo Drisya Bondi Hoy Camera’I, Ochena Tokhon Chena, Ojanake Jani

Kachher Jona Tobu Dhoyashai! Pasher Lok Theke Jaay Ochena! Ojana Theke Jaay Protibeshi.

Babar Buuk Gorbe Vore, “Chheleke Korechhi Engineer”;

Ucchosito Maa, Utfullo Mone Janay Protibeshider “Meye Hoyechhe Doctor”.

Ankurito Gorbo Daalpala Chhoriye Ekhon Prokando Brikkha.

Bohu Koster Ahutite Sopno Hoyechhe Sakar, Matite Pore Na Paa Dujonar;

Ainaay Aar Nijeder Chhobi Othe Na Phute, Protibimbo Toh Onyojonar;

Vulle Toh Cholbe Na, Amader Atma Oder Sottwa Aar Noy Alada!

Ovinno Hriday, Otut Bandhan, Sob Kichhu Jeno Milemishe Ekakar;

Oder Modhey Amader Paowa, Oder Modheyi Nijeder Bancha.

Sarthak Hoyechhe Jonmo Deowa, Rokkhe Korechhe Sokoler Maan,

Sopno Korechhe Sofol, Sofol Korechhe Koster Daam.

Baba-Maa’R Gorbe Vore Book, Ghum Ase Na Khusite;

Amader Cheye Aaj Achhe Koi’Jona Sukhi E Jagote?

Mobile’e, Mail’e, Chat’e, Social Site’e, Ekan’e-Okan’e

Ghure Fere Otiter Sarthotyager Katha, Dui Pirir Osomo Loraiyer Katha.

Doinondin Koster Somadhi-Khetre Aji Futechhe Neelakurinji‘,

Sob Santo, Hriday Prosanto, Nei Kono Loraiyer Chinno, Charimoy ‘Brahma Kamal‘-er Bahari.

Urechhe Nabaprojonmer Bijoy Pataka, Nijetei Bivor, Anandoloke Mogno.

Gungun Gunjone Aanmone Sur Othe, Tole Dheu Mondire, Kanpe Sorir Siharone,

Buker Bojha Pure Chhai, Khusir Poroshe Jaai Ure, Byatha Gole Vese Jaai Ankhi Jole.

Aaj Odhel Somoy, Haate Haat Rekhe Kete Jaai Din;

Sontan Hoyechhe Manush, Bideshe Kormoroto, Kormobyasto Jibon.

Phone-Phone Hoy Katha, Khobor Adanprodane Khushi Dujonai,

Evabei Goriye Chole Din, Kete Jaai Raat.

Kono Party-Te, Khusir Morsume Ghure Fire Uthe Ase Sei Otiter Jiboni;

Jhanjhalo Gorber Teje Protibeshira Hoye Jaay Osprisyo, Occhut, Vingrohi.

Status’e Mele Emon Sojjonder Songe Hoy Melbandhan, Kore Koromordon,

Sthan Diyechhe Moneprane, Jatayat Ghore-Dore, Gore Vinno Setubandhan.

Amra Korechhi Onek, Diyechi Somoy Odhel,

Vulechhi Lokloukikota, Cherechhi Atmiyo-Porijon.

Era Kemon Parents! Rakhe Na Kono Kheyal Sontaner Proti;

Porochorchai Oder Din Kete Jaay, Porichorjaay Ghote Diner Iti.

Bujhiye Dao Aabe-Vabe, Nijer Valo Nije Nao Bujhe, Tule Nao Nongor Ghare

Tomar Sopno Tomar Haate -Potuya Tumi Pujario Tumi! Bujhe Nao Aajke.

Karo Priyojon Thake Na Chirokaal, Eklai Cholte Hobe Path, Hote Hobe Parapar;

Sontaner Ghare Chapiye Vaar, Era Dite Chan Pogarpar?

Ghaar Jaai Jak Benke, Toiri Houekhon Theke;

Korkosh Bakye Bidhho Kore, Gyaner Bulir Guli Chhure,

Tulonay Khonta Kore, Khanto Kore Nijeke.

Omon Parents Ja Pare, Amra Parbou Na Konodin,

Khoma Koro Iswar! Manosikotai Bandhe Barebar Hok Sedin Ba Edin!

Rokter Tez Kome Din’e Din’e, Bardhakyo Melay Haat Prourotar Sathe;

Serial-Cinemay Khonje Jibon, Haate Haat Rekhe Buro-Burir Kate Somoy.

Mon Mante Chhai Na Kichhutei, Ku’Dei Sara Barebaar –

‘Tora Osohai! Khub Osohai! Vari Osomoy!’

Sontaner Protikkhai Kate Din, Par Kore Prohor.

Boyos Bare Joto, Buke Voy Jome Toto,

Bipod Ase Jodi Dujonai Samlabo Koto?

Aaj Achhe Sob, Acche Ortha, Poripati Ghar, Porichorjaay Aaya-Chakar,

Sudhu Bopode Pashe Daranor Loker Ovab, Ovab Apnar, Omil Porijonar.

Bazarer Pathe Naa’may Ondhokar Kortababur Chokher Kone,

Buk-Dhorpor, Prochondo Byatha, Osostti Graas Kore Khone.

Songa Fere Dhire, Asepase Totpor Nerse, Suye Achhen Bed’e;

Doctor Janay Voyer Kichhu Nei, Heart Attack! Achhen ICU’te.

Onake Admit Kora Hoyechhe Thik Somoye, Hote Parto Bipod;

Ekhon Valo Achhen, Bipod Mukto, Cholbe Medicine, Dhanyobad.

Ginni Ese Joriye Dhore, Ojana Santite Buker Jwala Jol Hoye Jhore Chokhe,

Vaggis Chhilo Protibeshi Sojjon, Chhilo Protibeshir Taxi,

Na Hole Hoto Sob Sesh! Vebei Voye Siure Othe Ga’,

E’Jatrai Korechhen Rokkhe Uni, Protibeshir Roope Vogoban, Janai Sotokoti Pronam.

Chhele-Meye, Atmiyo-Swojon, Puro Parivar Aaj Pashe,

Sahos, Astha, Arthik Sohoyota Berechhe Bohugun Sathe,

Tobu Papbodh Kure Khay, Atmoglani Boye Jay Chorasrote.

Status’Er Ohonkare Chhilam Vule, Oder Vabnai Chiilam Moje,

Oder Valolagai Chhilo Pradhanyo, Hariye Chhilam Oder Majhe,

Oderke Somoy Dite Dite Nijerai Theke Gechhi Obohelito Dine Dine.

Aaj Bujhi Mormokatha Morme-Morme, Ei Somaj Gorechhe Manush, Manush Gorechhe Savyota;

Sokole Noi Toh Osovya! Manush Acche Manusher Jonyo, Manush Banche Manushe,

Aajo Benche Achhe Amader Majhe Bodhisotta, Rokhha Kore Manobikota.

 

Vogoban Haasen Tripto Haasi, Bujhle Narod Manush Keno Sresto, Keno Mohan?

Ora Pare Nijer Vulke Nijei Sudhre Nite,

Onyer Vulke Nirbidhay Pare Khoma Kore Dite,

Rokter Somporkoke Upekhha Kore Bopode Ase Chhute.

Hey Pravu! Eto Kichhur Poreo Kichhu Jona Thake Nijete Moje,

Nei Akkhep, Nei Heldol, Nei Papbodh, Nei Ashu!

Ohe Narod! Bujhle Na Kichhu! Ora Holo Odhormi, Omanush, Sarthopor,

Manusher Naam’e Kolonko! Manusher Beshe Pashu!

Read More Icon-8

Bangla Kobita: Manus Robot O Robot Manus ~ মানুষ রোবট ও রোবট মানুষ

Bengali Kobita: Atma O Poromatma ~ আত্মা ও পরমাত্মা

Bangla Kobita: Corporate Karmochari ~ কর্পোরেট কর্মচারী

Bangla Kobita: Ruposi Bangla Poribortone Biswabangla ~ রূপসীবাংলা পরিবর্তনে বিশ্ববাংলা

Bangla Kobita: Sunyo Chetona Sunye ~ শূন্য চেতনা শূন্যে

Chotoder Kobita: Robi O Kobi ~ রবি ও কবি

Bangla Kobita: Holigun O Hooligan ~ হোলিগান ও হুলিগান

 Meaning:  

 

(01) নিলাকুরিঞ্জি / Neelakurinji (Scientific Name: Strobilanthes kunthianus):

এটি বিশ্বের দুর্লভ ফুলের মধ্যে একটি, যা ১২ বছর অন্তর ফোটে। এই ফুল প্রধানত দক্ষিন ভারতের পশ্চিম ঘাট পার্বত্য ঢালে ৬০০০-৭০০০ উচ্চতায় ফোটে, যেখানে পাহারি গাছ বিশেষত নেই বললেই চলে। বিশেষত ভারতের কেরল রাজ্যের মুন্নার শহরটি থেকে খানিক দূরবর্তী নির্জন পার্বত্য অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এটি গুল্ম জাতিয় গাছ, এর ফুল ঘন্টাকৃতি গুচ্ছাকারে (২-৫) ফোটে, ফুলের মাপ ৩-৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে এবং এর রঙ প্রধানত উজ্জ্বল নীল হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চল নীল রঙ ধারন করে। এই কারনে নীলগিরি পর্বতমালা (Nilgiri Hills) নামকরন করা হয়েছে। এরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক বিখ্যাত নিলাকুরিঞ্জির জন্যই।

 

(02) ব্রহ্ম কমল / Brahma Kamal Flower (Scientific Name: Saussurea obvallata):

উত্তর মায়ানমার, দক্ষিণ-পশ্চিম চিন ও ভারতের উত্তরাখণ্ড— মূলত এই তিন অঞ্চলেই ব্রহ্মকমল বা কন বা কাপ্ফু পাওয়া যায়। ৩০০০ থেকে ৪৮০০ মিটার উচ্চতায়, পাহাড়ি ঢালে পাথরের ফাঁকে এই ফুল ফোটে।

পুরাণ অনুসারে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং ব্রহ্মা এই ফুলের উপরে বসে উপাসনা করেন৷ তাই একে ব্রহ্মকমল বলা হয়৷ তাছাড়াও পৌরাণিক মতে, হাতির মাথা লাগানোর পরে, গণেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রহ্মকমলের জলে স্নান করে। যে কারণে, এই ফুলকে ‘জীবনদায়ী’ পদ্মও বলা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামী , দুষ্প্রাপ্য ও ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ ফুল।

পূজাপাঠে যথেচ্ছ ব্যাবহার, কালো বাজারি, ও পৃথিবীতে পরিবর্তিত আবহাওয়ার জন্য এই ফুলের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিব্বতে এই উদ্ভিদ ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত্ হয়ে থাকে, যা সেখানে “সা-দু-গোহ-ঘুহ” নামে পরিচিত। শুধু ফুল নয় সম্পূর্ণ গাছটিই ব্যবহারযোগ্য।

বর্তমানে কেদারনাথ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি, নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ও অ্যসকট ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি—এই তিন অভয়ারণ্যই ব্রহ্মকমল কেবলমাত্র সংরক্ষিত হয়।

 

Bangla Kobita_ Protibeshi_ প্রতিবেশী_2

 

 

 

x


Like it? Share with your friends!

157
126 shares, 157 points
daextlwcn_print_scripts(true);

Thanks for your interest joining to Bangla Kobita Club community.

Something went wrong.

Subscribe to Join Our Community List

Community grow with You. [Verify and Confirm your Email]