daextlwcn_print_scripts(false);
🪔দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya)🪔কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya)-1

🪔দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya)✸কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya)🪔

1 min


261
230 shares, 261 points

সারা বছরই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে প্রদীপ নিবেদন করতে হয়। তবে কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya) দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya) গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যহ আরতির জন্য ঘৃত প্রদীপ নিবেদন করা একটি অপরিহার্য অঙ্গ। তবে কার্তিক বা দামোদর মাসে শ্রীভগবানের উদ্দেশ্যে প্রদীপ নিবেদনের বিশেষ মাহাত্ম্য বিদ্যমান। শ্রীকৃষ্ণের শারদীয়া রাসযাত্রা বা লক্ষ্মী পূর্ণিমা থেকে হৈমন্তী রাস পূর্ণিমা পর্যন্ত একমাস দামোদরাষ্টকম্ গান করে ভক্তবৃন্দ শ্রীদামোদরকে প্রদীপ আরতি করেন।

স্কন্দপুরাণ অনুযায়ী, “যদি আমরা (দামোদর মাসে) শ্রীবিগ্রহগণকে প্রদীপ নিবেদন করি তাহলে ১০০০ গুণ এবং অন্যান্য কাজের জন্য ১০০ গুণ সুফল লাভ করবো।”

দীপদানের পর দীপ-এর আরতির তাপ গ্রহণ করবেন আশীর্বাদ স্বরূপ… Next day… নতুন করে আবার দীপ তৈরি করবেন। মাটির প্রদীপ হলে আর কাজে লাগবে না, পিতলের হলে মেজে নিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারেন। 

করনীয় : এই মাস সর্বাপেক্ষা ভগবানের প্রিয় বলে প্রতিদিন ভগবান দামোদরের অর্চন, প্রাতঃস্নান, দীপদান, দামোদরাষ্টকম্ পাঠ (সত্যব্রত মুনি প্রণীত) ও দান ব্রতাদি পালন করবেন। মন্দির প্রদক্ষিণ, শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং হরিকথা শ্রবণের ফলে পুনর্জন্ম রহিত হয়।

বর্জনীয় :  দামোদর মাসে মৎস্য, মাংস ভক্ষণে নরকত্ব প্রাপ্ত হয়। (ঔষধ হিসেবেও বর্জনীয়), মাসকলাই (অড়হর ডাল), বরবটি, শিম, কলমী শাক, পটল, বেগুল, তৈল, মধু, কাসার পাত্রে ভোজন ও পঁচা বাসি দ্রব্য বর্জন। দিবশয্যা ও শ্রীসঙ্গ দামোদর মাসে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

TABLE OF CONTENTS

❀ দামোদর ব্রত কি? 

চাতুর্মাস্যের চতুর্থ মাস অর্থাৎ কার্তিক মাসকে বলা হয় দামোদর মাস, কেননা এই মাসটি ভগবান দামোদর রূপের আরাধনার জন্য নির্দিষ্ট। মা যশোদা শিশু কৃষ্ণকে দাম বা রজ্জুর দ্বারা বন্ধন করেছিলেন, সেজন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি নাম হল দামোদর। বৈদিক সংস্কৃতিতে সুপ্রাচীন কাল হতে কার্তিক ব্রত বা দামোদর ব্রত পালিত হয়ে আসছে। দামোদর ব্রতের সময়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কর্পূর সমন্বিত ঘৃত বা তিল তেল দ্বারা প্রদীপ প্রজ্বলন করে ভগবানকে আরতি নিবেদন করতে হয় এবং শ্রীদামোদরাষ্টকম্ (Damodarastakam) পাঠ করতে হয়।

আরও পড়ুন: দামোদর ব্রত কথা (Damodar Vrat Katha)✸শাস্ত্রীয় নির্দেশাবলি✸শ্রীদামোদরাষ্টকম্ (Damodarastakam)

আরও পড়ুন: দামোদর কে?✤দামোদর লীলা (দামবন্ধন লীলা✤Damodar Lila)মাহাত্ম্য

আরও পড়ুন: চাতুর্মাস্য ব্রত (Chaturmasya Vrata) কি? ✤ কি কি গ্রহণযোগ্য ও বর্জনীয়?

✸✤ দামোদর মাসে পালিত অন্যান্য উৎসব ✸✤
===============================

দামোদর মাসে দামবন্ধন লীলা ছাড়াও অন্নকূট মহোৎসব, রাধাকুন্ড ও শ্যামকুন্ডের আবির্ভাব তিথি (বহুলাষ্টমী), তুলসী-শালগ্রাম বিবাহ, গোপাষ্টমী, বলিদৈত্যরাজপূজা, ভীষ্মপঞ্চক, গিরি-গোবর্ধন পূজাদীপাবলি লীলাও সংগঠিত হয়েছিল।

✸✤ দামোদর ব্রত পালনের সুফল ✸✤
===========================

দামোদর মাসে অন্নাদি দান, হোম, তপস্যা, জপ করলে তা অক্ষয় ফলপ্রদা হয়।

সর্বতীর্থে যে স্নান, সর্বদানের যে ফল তা দামোদর মাসের কোটি অংশের একাংশেরও সমান হয় না।

যে মানব দামোদর মাসে শ্রীবিষ্ণু মন্দির প্রদক্ষিণ করার ফলে সে পদে পদে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফলভোগী হয়।

দামোদর মাসে শ্রীহরির সম্মুখে নৃত্য, গীত, বাদ্যধ্বনি এবং ভক্তিসহকারে কীর্তন করার ফলে অক্ষয়পদ বিষ্ণুধাম প্রাপ্ত হওয়া যায়।

হে মুনিবর! পবিত্র দামোদর মাসে যিনি হরিকথা শ্রবণ করেন, তিনি শতকোটি জন্মের আপদসমূহ হতে নিস্তার পান।

দামোদর মাসে নিমেষার্দ্ধকাল দীপদান করার ফলে সহস্রকোটি কলা অর্জিত বহু পাপ বিনষ্ট হয়।

[দামোদর ব্রত মাহাত্ম্য, স্কন্দপুরাণ]

✸✤ দামোদর ব্রত না পালনের কুফল ✸✤
============================

যে গৃহী দামোদর ব্রত পালন না করেন, তার অন্যান্য ধর্মাচরণ বৃথা হয়, কল্পকাল নরকবাসী হয় এবং পিতৃমাতৃ ঘাতক সমতুল্য ও পশু-পাখি যোনিতে জন্ম লাভ করে।

হে মুনিবর! যে মানব দামোদর ব্রত না করে, সে ব্রহ্মঘাতী, গোঘাতী, স্বর্ণচোর ও সর্বদা মিথ্যাবাদী।

দামোদর কে✸দামোদর লীলা (দামবন্ধন লীলা✤Damodar Lila)মাহাত্ম্য✸8

❀ দামোদর মাসে দীপদানের সময়সূচী

১৭ই অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার (৩০ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) পূর্ণিমাঃ শ্রীদামোদরকে প্রদীপ দান আরম্ভ।

১৫ই নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার (২৯শে কার্ত্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) পূর্ণিমাঃ শ্রীদামোদরকে প্রদীপ দান সমাপন। সেই সঙ্গে এই দিনে চাতুর্মাস্য ব্রত ও ভীষ্মপঞ্চক ব্রত সমাপ্ত হয়।

─•━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━•─

❀ দামোদর মাসে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাহাত্ম্য কি? 

প্রজ্বলিত কর্পুর সমন্বিত দীপ দ্বারা আরতি করলে সপ্তকল্প যাবত ভগবদধামে বাস হয়। মনোহরদৃশ্য দ্বারা শ্রীহরির আরতি করলে কাম-ক্রোধাদি বিদূরিত হয় এবং পুনর্জন্ম হয় না। দীপের আলোতে ভগবানের মুখমন্ডল দর্শন করলে ব্রহ্মহত্যাদি পাপ হতে মুক্ত হওয়া যায়। যে গৃহে দীপদান করা হয় তার সর্বদা ধন, যশ, পুত্র লাভ হয় এবং পূর্বপুরুষগণ সন্তুষ্ট হয়।

─•━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━•─

দামোদর মাসে আরতি নিবেদনের নিয়ম কি?

ঘৃত বা তিলের তৈল যুক্ত কর্পূর মিশ্রিত প্রদীপ দ্বারা ভক্তি সহকারে প্রথমে ভগবানের শ্রীবিগ্রহ বা চিত্রপটের চরণে ৪ বার, নাভি কমলে ২ বার, মুখমন্ডলে ৩ বার এবং তারপর সর্বাঙ্গে ৭ বার (ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরিয়ে অর্থাৎ বাম দিক থেকে ডানদিকে) প্রদীপ প্রদক্ষিণ করাতে হয়। মাটির প্রদীপ একবারই ব্যবহারযোগ্য।

এই মহান দামোদর মাসে ভগবান শ্রী হরিকে ১টি মাত্র প্রদীপ নিবেদনে ১ লক্ষ গুন প্রদীপ নিবেদনের ফল লাভ হয়!

🪔দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya)🪔কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya)-5

দামোদর মাসে দীপদান এবং আকাশদীপের মহিমা

দীপদান  মহিমা
==============

 স্কন্দপুরাণে বর্ণিত আছে ──

পূর্বকালে দ্রাবিড়দেশে বুদ্ধ নামে এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন। তাঁর পত্নী ছিল খুবই দুষ্টা প্রকৃতির এবং দুরাচার সম্পন্না। ঐ পত্নীর সংসর্গে থাকার ফলে ব্রাহ্মণের আয়ু ক্ষয়প্রাপ্ত হতে হতে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হলেন। পতীর মৃত্যুর পরে ঐ পত্নীটি আরও বিশেষভাবে ব্যভিচারে লিপ্ত হলো। এমনকি লোকনিন্দার ভয় না করে সে নির্লজ্জের মতো ব্যবহার করতে লাগল। তার কোনো পুত্র বা ভাই ছিল না। সে সর্বদাই ভিক্ষার অন্ন ভোজন করত। নিজের হাতে প্রস্তুত না করে সর্বদাই পরের বাড়ি থেকে ভিক্ষা করে বাসি অন্ন ভোজন করত এবং অনেক সময় অপরের বাড়িতে রান্না করতে যেত, সেখান থেকে অন্ন জুটিয়ে নিত।
তীর্থযাত্রা আদি থেকে সর্বদাই দূরে থাকত। সে কখনও কোনো ভালো কথায় কর্ণপাত করত না।
একদিন এক বিদ্বান তীর্থযাত্রী ব্রাহ্মণ তার গৃহে উপস্থিত হল। যার নাম ছিল কুৎস। তাকে (ঐ পত্নীকে) ব্যভিচারে আসক্ত দেখে সেই ব্রহ্মর্ষি কুৎস বললেন ━ “ওরে মূর্খ নারী! মনোযোগ সহকারে আমার কথা শ্রবণ কর। পৃথ্বি আদি পঞ্চভূত দিয়ে তৈরী এই রক্তমাংসের শরীর, যা কেবল দুঃখেরই কারণ, তুই তাকে যত্ন করছিস? এই দেহ জলের বুদবুদের মতো, একদিন যা অবশ্যই বিনষ্ট হবে। এই অনিত্য শরীরকে যদি তুই নিজ বলে মনে করিস তাহলে নিজের বিচার পূর্বক এই মোহ পরিত্যাগ কর। ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ কর এবং তাঁর লীলাকাহিনী শ্রবণ কর। এখন কার্তিক মাস আগত হবে, তখন ভগবান দামোদরের প্রীতি বিধানের জন্য, স্নান, দান আদি কর্ম করে গৃহে বা মন্দিরে বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে দীপ নিবেদন করে শ্রীবিষ্ণুকে পরিক্রমা করবে এবং তাঁকে প্রণাম করবে। এই ব্রত বিধবা এবং সৌভাগ্যবতী নারী উভয়েরই অবশ্য পালনীয়। যার ফলে সমস্ত প্রকারের পাপের শাস্তি এবং সকল উপদ্রব নষ্ট হয়। কার্তিক মাসে দীপদান নিশ্চিতরূপে ভগবান বিষ্ণুর প্রীতি বর্ধন করে।
এই কথা বলে ব্রাহ্মণ কুৎস অপর একটি গৃহে গমন করলেন। তখন ঐ ব্রাহ্মণী ব্রহ্মর্ষি কুৎসের এই রকম উপদেশ শ্রবণ করে নিজ কর্মের জন্য অনুতাপ করতে লাগল এবং সে স্থির করল যে সে অবশ্যই কার্তিক মাসে এই ব্রত পালন করবে। তারপর যখন কার্তিক মাস আগত হলো তখন সে পুরো মাস সূর্যোদয়ের সময় প্রাতঃস্নান তথা বিষ্ণুকে দীপদান সহ নিষ্ঠা সহকারে এই ব্রত পালন করল। তারপর কিছুকাল বাদে আয়ু শেষ হলে তার মৃত্যু হলো। তখন সে স্বৰ্গলোকে গমন করল এবং পরে মুক্তি লাভ করলেন।
যে সমস্ত মানুষ কার্তিক ব্রত পালন ও দীপদান আদি সম্পন্ন করে তারা যদি এই ইতিহাস শ্রবণ করে তাহলে তারাও মোক্ষ লাভ করে ।

আকাশদীপের মহিমা
=================

এরপর ব্রহ্মা বললেন ━ “হে নারদ! এখন আকাশ দীপের মহিমা শ্রবণ কর। কার্তিক মাস আগত হলে যিনি নিয়মিত ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নান করে আকাশদীপ দান করেন তিনি সমস্ত লোকের প্রভু এবং অন্তিমে মোক্ষ (মুক্তি) লাভ করেন। এইজন্য কার্তিক মাসে স্নান, দান আদি কর্ম করার সাথে সাথে ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরে এই একমাস দীপদান করা অবশ্য কর্তব্য।”
আকাশদীপ বা আকাশ প্রদীপ হল ━ বাঁশের দ্বারা উঁচু করে অন্তরীক্ষে দোদুল্যমান মাটির প্রদীপ। 
চন্দ্রশর্মা নামে এক ব্রাহ্মণের পরামর্শে মহারাজ সুনন্দ সম্পূর্ণ মাস কার্তিক বিধিপূর্বক ব্রত পালন করেছিলেন। কার্তিক মাসে প্রতিদিন প্রাতঃস্নান করে পবিত্র হয়ে কোমল তুলসীপত্র সহযোগে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করতেন এবং প্রতি সন্ধ্যায় তিনি একটি আকাশদীপ নিবেদন করতেন। দীপ প্রদানের সময় তিনি নিম্নোক্ত মন্ত্রটি পাঠ করতেন ──
❝ দামোদরায় বিশ্বায় বিশ্বরূপধরায় চ ৷
নমস্কৃত্যা প্রদস্যামি ব্যোমদীপম্‌ হরিপ্রিয়ম্‌॥ ❞ 
অনুবাদ: “বিশ্বরূপ ধারণকারী ভগবান শ্রীদামোদরকে আমি প্রণাম নিবেদন পূর্বক শ্রীহরির অতিপ্রিয় এই আকাশদীপ নিবেদন করছি.হে ভগবান আমি যেন এই ব্রতপালনের মাধ্যমে তোমার প্রতি বিশুদ্ধ ভক্তি লাভ করি”।
── এই প্রকার ভক্তিভাব সহকারে মহারাজ সুনন্দ প্রতিদিন শ্রীভগবানকে একটি প্রদীপ নিবেদন করতেন। তাছাড়াও তিনি অতি প্রত্যুষে অর্থাৎ ব্রাহ্মমুহূর্তে উঠে গাত্রোত্থান করে পুনরায় আকাশদীপ নিবেদন করতেন। এইরূপে মহারাজ সুনন্দ সকল বিধিনিষেধ পালন করে সমগ্র মাস এই কার্তিক ব্রতে ব্রতী হলেন। মাসে শেষে ব্রতভঙ্গ করে আকাশ দীপের নিয়মের সমাপ্তি করলেন এবং ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে এই বিষ্ণুব্রত পূর্ণ করলেন। এই পুণ্যের প্রভাবে রাজা এই পার্থিব জগতেই পত্নী, পুত্র, পৌত্র এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে এক লক্ষ বৎসর সুখ উপভোগ করলেন এবং অন্তকালে পত্নীর সঙ্গে সুন্দর বিমানে আরূঢ় হয়ে চতুর্ভূজ (শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম দ্বারা সুশোভিত) বিষ্ণু সদৃশ রূপ লাভ করে ভগবদ্ধামে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।
তারপর তিনি বিষ্ণুলোকে ভগবানের সান্নিধ্যে সুখ ও আনন্দের সঙ্গে বাস করতে লাগলেন। সেই কারণে দুর্লভ মনুষ্য জন্ম লাভ করে  ভগবান বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয় আকাশদীপ বিধিপূর্বক দান করা উচিৎ। এই সংসারে যে বিষ্ণুর প্রসন্নতা বিধানের জন্য আকাশদীপ প্রদান করে, তাকে নিষ্ঠুর কঠিন ভয়ঙ্কর মুখ বিশিষ্ট যমরাজের মুখ দর্শন করতে হয় না। একাদশীতে সূর্যের তুলারাশিতে অবস্থান অথবা পূর্ণিমাতে লক্ষ্মী সহিত ভগবান বিষ্ণুর প্রসন্নতা বিধানের জন্যই আকাশদীপ প্রদান করা চাই ।
❝ নমো পিতৃভ্যঃ প্রেতেভ্যো নমো ধর্মায় বিষ্ণবে ৷
নমো যমায় রুদ্রায় কান্তারপতয়ে নমঃ ॥ ❞ 
অনুবাদ: পিতৃগণকে নমস্কার, প্রেতগণকে নমস্কার, ধর্মস্বরূপ বিষ্ণুকে প্রণাম, যমরাজকে নমস্কার তথা দুর্গম পথে রক্ষাকারী ইন্দ্রকে প্রনাম নিবেদন করলাম ।”

── এই মন্ত্র উচ্চারণ করে যে মানুষ পিতৃগণের উদ্দেশ্যে আকাশে দীপদান করেন, তার পিতৃগণ নরকে থাকলেও উত্তম গতি প্রাপ্ত হন। যে দেবালয়ে, নদীর তীরে, রাজপথে, তথা নিদ্রা যাবার স্থানে দীপদান করে সে সর্বতোভাবে লক্ষ্মীপ্রাপ্ত হয়। যে ব্রাহ্মণ বা অন্যজাতির মন্দিরে দীপ প্রজ্জ্বলন করে সে বিষ্ণুলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়।’ যে কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম উঁচু নিচু পথে দীপ দান করে সে কখনো নরকে পতিত হয় না। পূর্বকালে রাজা ধর্মনন্দন আকাশদীপ দানের প্রভাবে শ্রেষ্ঠ বিমানে আরোহন করে বিষ্ণুলোকে প্রস্থান করেছিলেন।

যিনি কার্তিক মাসে প্রবোধিনী একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর সম্মুখে কর্পূর দিয়ে দীপ প্রজ্জ্বলন করেন তাঁর কুলে উৎপন্ন সমস্ত মানুষ ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় ভক্ত হন তথা অন্তঃকালে মোক্ষলাভ করেন। পূর্বকালে কোনো এক গোপ অমবস্যা তিথিতে ভগবানের মন্দিরে দীপ প্রজ্জ্বলন করে তথা বারংবার জয়ধ্বনি উচ্চারণ করে রাজরাজেশ্বর হয়েছিলেন। এইভাবে স্বয়ং ব্রহ্মা নারদ মুনির কাছে কার্তিক মাসে ভগবানের উদ্দেশ্যে নিয়মিত দীপ দান ও আকাশদীপ দানের মহিমা ব্যক্ত করেছিলেন। সকলেরই এইভাবে কার্তিক মাসে দীপদান করা উচিত।

🪔দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya)🪔কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya)-3

দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য কি?

(Deepdan Mahatmya in Damodar Mass)

যিনি কার্তিকমাসে বিশেষত একাদশী ও দ্বাদশীতে অতি সুন্দর দীপমালিকা রচনা করেন, তিনি দশ সহস্র সূর্যতেজ সদৃশ জ্যোতিদ্বারা দশদিক্ আলোকিত করে জ্যোতির্ময় বিমানে জগৎ আলোকিত করে বিষ্ণুলোকে গমন করেন। ─── ভবিষ্যপুরাণ

কার্তিক মাসে যদি কোনো ব্যক্তি পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কেশবের উদ্দেশ্যে একটি দীপ প্রজ্বলন করে থাকেন, তাহলে তিনি সকল যজ্ঞ এবং সমস্ত তীর্থে স্নান সম্পন্ন করার সুফল প্রাপ্ত হন।” ───  হরিভক্তিবিলাস ১৬ / ১০৪

 ◼️ কার্তিকে আকাশদীপ দানের মাহাত্ম্য◼️

পদ্মপুরাণে কার্তিক প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে ──

১। যে মনুষ্য কার্তিক মাসে উচ্চ আকাশে প্রদীপ দান করেন, তিনি সর্বকুল উদ্ধার করে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন

২। যে মনুষ্য কার্তিকে শ্রীবিষ্ণুর উদ্দেশ্যে আকাশে ও জলে দীপ দান করেন, তার যে ফল তা শ্রবণ করুন। হে বিপ্রগণ! এইভাবে যিনি দীপদান করেন, তিনি ধনধান্য, সমৃদ্ধিশালী, পুত্রবান্ ও ঐশ্বর্যশালী হন, তাঁর নয়নযুগল সুশোভন হয় এবং তিনি বিদ্বান হয়ে জন্মগ্রহণ করেন।

৩। কার্তিকমাসে বিপ্রগৃহে (বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের ঘরে) যিনি দীপদান করেন, মনীষিগণ বলেন ─ তাঁর অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল লাভ হয় ।

৪। চৌরাস্তায়, রাজপথে, ব্রাহ্মণ গৃহে, বৃক্ষমূলে, গোষ্ঠে (গোচারণভূমি), মাঠে, অরণ্যেও দীপদানে সর্বত্র মহাফল প্রাপ্ত হবে।

 ◼️মন্দিরে দীপমালা রচনা ও দীপ প্রজ্বলন করার মাহাত্ম্য◼️

যিনি ভগবানের মন্দির আলো দ্বারা সজ্জিত করেন, সেই ব্যক্তি ভগবদ্ধাম তো প্রাপ্ত হন শ্রীহরিমন্দিরের বাইরে ও ভিতরে দীপমালা রচনা করেন, তিনি শ্রীবিষ্ণুর পার্ষদ হতে পারেন। যিনি শ্রীহরিমন্দিরে দীপমালা রচনা করেন, তার বংশে উদ্ভুত লক্ষপুরুষের নরক গমন হয় না। হে মুনে! শ্রীবিষ্ণুমন্দিরের বাইরে-ভেতরে যিনি দীপ প্রজ্বলন করেন, তিনি যখন ভগবদ্ধামে প্রবেশ করবেন তখন দেবতারা প্রদীপ হাতে সেই মহাত্মাকে বরণ করবেন।   ─── স্কন্দপুরাণ

“এমনকি যদি কোন মন্ত্র, কোন পুণ্যা কর্মফল এবং বিশুদ্ধতা নাও থাকে, তবুও যখন একজন ব্যক্তি দামোদর মাসে দীপদান করেন, তখন সবকিছুই পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়।” ─── হরিভক্তিবিলাস ১৬ / ১০৩

 পিতৃপক্ষে অন্নদান, গ্রীষ্মকালে জলদান দ্বারা যে ফল হয়, কার্তিক মাসে প্রদীপ দান কেন, অন্যের নিবেদিত প্রদীপও যদি কেউ উদ্দীপিত করে, তবে সেই ফল লাভ হয়।

হরিমন্দিরে অন্যের দানকৃত দীপকে যারা উজ্জ্বল করে অর্থ্যাৎ আলো বাড়িয়ে দেয়, তারা যম যন্ত্রণা থেকে নিস্তার লাভ করে। ─── হরিভক্তিবিলাস ১৬ / ১২৬-১২৮

একদিন কার্তিক একাদশীতে বিষ্ণুমন্দিরে রাত্রিবেলায় এক ইঁদুর প্রায় নিবন্ত প্রদীপের ঘি খেতে গিয়ে যেই মুখ লাগালো অমনি সলতে নড়ে গিয়ে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলতে শুরু করল। ইঁদুরটির মুখে দীপের আগুন লেগে গিয়ে ইঁদুর দেহত্যাগ করল। তারপর ইঁদুরটি সেই বিষ্ণুমন্দিরের পূজারীর কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করল। সেই কন্যাটি ভক্তিভরে, বিষ্ণুমন্দিরের মার্জনাদি কর্ম এবং বিষ্ণুর জন্য ফুল সংগ্রহ, মালা বানিয়ে নিবেদন করা প্রভৃতি সেবায় যুক্ত হলো। মনুষ্য জন্মের অন্তিম লগ্নে বিষ্ণুলোকে গমন করল। এই হলো পরের প্রদীপ নিবেদন করার ফল।

“কেউ যদি এই দামোদর মাসে ভগবানের উদ্যেশ্য দীপদান করেন তিনি যদি নিমেষের অর্ধেক সময়েরও অর্থ্যাৎ চোখের পলক ফেলতে যতটুকু সময় লাগে, সেই সময়ের অর্ধেক সময়ের জন্য যদি তিনি দীপদান করেন, তবে তাঁর সহস্র কোটি কল্পের পাপ বিদূরিত হয়ে যায়।” ─── স্কন্দপুরাণ

“কেউ যদি ভগবানকে নিবেদনকৃত প্রসাদী প্রদীপ তাঁর পূর্বপুরুষের উদ্যেশ্য দান করেন, তাহলে সেই পূর্বপুরুষেরা পবিত্রতা এবং শান্তি লাভ করেন।” ─── পদ্মপুরাণ

এই মাসে দীপ দান করলে সর্ব যজ্ঞের এবং সর্ব তীর্থের ফল লাভ হয়।

প্রজ্বলিত কর্পূর দিয়ে দীপদানের মাধ্যমে আরতি করলে সপ্তকল্প যাবৎ ভগবদ্ধামে বাস হয়।

শ্রীহরির সম্মুখে দীপ দান করলে কাম-ক্রোধ ভস্মীভূত হয় এবং পুনর্জন্ম হয় না।

দীপের আলোতে ভগবানের মুখমন্ডল দর্শন করলে ব্রহ্মাহত্যাদি পাপ হতে মুক্ত হওয়া যায়।

যে গৃহে দীপদান করা হয় তাঁর সর্বদা ধন, যশ, সুপুত্র লাভ হয় এবং পূর্বপুরুষগণ সন্তুষ্ট হয়।

যে বাড়ীতে সকাল-সন্ধ্যা ধূপ-প্রদীপ দেখানো হয় সেই বাড়ীতে মা লক্ষ্মী অচলা থাকেন।

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•─

দামোদর মাস  বা কার্তিক মাসের মাহাত্ম্য কি?

(Significance of Kartik Maas or Damodar Mass)

 দামোদর মাস বা কার্তিক মাস সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাস ভগবান বিষ্ণুর মাস বলে খ্যাত।

এই মাস ত্যাগের মাস হিসেবেও পরিচিত। এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর সেবা একগুণ করলে সহস্রগুণ ফল লাভ করা যায় । এই মাসে প্রত্যেক মন্দিরে বা তুলসী গাছের নীচে বিষ্ণুর প্রীতি লাভের জন্য দ্বীপ দান করা হয়।

এই পূণ্য মাস সম্পর্কে পদ্মপুরাণ, ভাগবতপুরাণ, স্কন্ধপুরাণ ও শ্রীহরিভক্তিবিলাস শাস্ত্রে অসংখ্য তথ্য বলা আছে। পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে, এই পূণ্য মাসে ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে কেউ যদি একটি প্রদীপ দান করে তবে, তার সমস্ত পাপ নাশ হবে এবং তার পুনর্জন্ম আর হবে না।

তিনি সংসারে অজেয় ও অক্ষয়কীর্তি স্থাপন করবেন। নিরন্তন প্রদীপ জ্বালানো উচিত। প্রদীপটি মাটির হলে উত্তম হয়। প্রদীপটি জ্বালাতে সলিতা ও ঘি, তিলের তেল বা কর্পূর ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম ঘি ব্যবহার করবেন না। প্রদীপের আলোতে যেমন, চারদিক আলোকিত হয়ে সমস্ত অন্ধকার দূর করে; তেমনি ভক্তি ও জ্ঞান দ্বারা সকলের পাপ দূরীভূত হয়। অর্থাৎ প্রদীপের আলোর শিখা যত উজ্জ্বল হতে থাকবে, ততই তার পাপ ক্ষয় হতে থাকবে।

স্কন্ধ পুরাণে বলা হয়েছে, এই মাসে যে প্রদীপ দান না করে তারা ব্রহ্মঘাতী, গোঘাতী, স্বর্ণ অপহারী ও সদা মিথ্যাবাদী। দামোদর মাসে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তার মাতৃ স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

পৌরাণিক কাহিনী মতে, কলিপ্রিয়া তার স্বামীকে বধ করেছিল এবং তার ভুল বুঝতে পেরে সে নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য এই দীপ দান করেন। এই পবিত্র মাসে দীপ দানের জন্য তিনি দেহান্তে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন।

আবার, এক পত্নী ইঁদুর প্রদীপের তেল খেতে এসে নিজের অজান্তেই প্রদীপের সলিতাকে উস্কে দেয় বা জ্বলতে সাহায্য করে; আর যার ফলশ্রুতিতে দেহান্তের পর সে ও বৈকুন্ঠলোক প্রাপ্ত হোন।

পূজা দেয়ার সময় ভগবান বিষ্ণুর চিত্রপট বা বিগ্রহের চরণে চার বার, নাভি কমলে দুই বার, মুখমন্ডলে তিনবার ও সর্বাঙ্গে সাত বার (ডানদিক থেকে আরম্ভ করে) প্রদীপ প্রদক্ষিণ করাতে হয়। দামোদর মাসে সম্পূর্ণ ভক্তি ,বিশ্বাস ও প্রেম দ্বারা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে দেহান্তে বৈকুন্ঠ লাভ বা মুক্তি লাভ হয়। তাই, আপনারা অন্তত পক্ষে একটি প্রদীপ ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে অর্পণ করুন।

🌸শ্রী দামোদর ভগবান কি জয় 🌸

🌸 জয় শ্রীরাধেশ্যাম 🌸

─•━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━•─

🪔🪔🪔 শ্রীদামোদরাষ্টকম্ 🪔🪔🪔

(DAMODARASTAKAM)

—- (শ্রীমৎ সত্যব্রত মুনিকৃত)

নমামীশ্বরং সচ্চিদানন্দরূপং
লসৎ-কুণ্ডলং গোকুলে ভ্রাজমানম্।

যশোদা-ভিয়োলূখা লাদ্ধাবমানং
                                      পরামৃষ্টম্‌ অত্যান্ততো দ্রুত্য গোপ্যা ॥

অনুবাদ: যিনি সচ্চিদানন্দ-স্বরূপ, যাঁর কর্ণযুগলে কুন্ডল আন্দোলিত হচ্ছে, যিনি গোকুলে পরম শোভা বর্দ্ধন করছেন এবং যিনি শিক্য অর্থাৎ শিকায় রাখা নবনীত (মাখন) অপহরণ করে মা যশোদার ভয়ে উদূখলের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে অতিশয় বেগে পলায়ন করেছিলেন ও মা যশোদাও যাঁর পিছনে ধাবিত হয়ে পৃষ্ঠদেশ ধরে ফেলেছিলেন, সেই পরমেশ্বররূপী শ্রীদামোদরকে প্রণাম করি।

রুদন্তং মুহুর্নেত্র-য়ুগ্মং মৃজন্তং
করাম্ভোজ-য়ুগ্মেন সাতঙ্ক-নেত্রম্।

মুহুঃ শ্বাস-কম্প-ত্রিরেখাঙ্ক-কণ্ঠ-
                                      স্থিতগ্রৈবং দামোদরং ভক্তি-বদ্ধম্ ॥

অনুবাদ: যিনি মায়ের হাতে লাঠি দেখে কাঁদতে কাঁদতে দু’খানি পদ্মহস্ত দিয়ে বারবার চোখদুটিকে রগড়াচ্ছেন, যাঁর চোখে ভয়ের লক্ষণ ফুটে উঠেছে ও ভয়ের কারণে মুহুর্মুহুঃ শ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে কম্পন অনুভূত হচ্ছে, যাঁর কণ্ঠস্থ মুক্তাহার দোদুল্যমান হচ্ছে এবং যাঁর উদরে দড়ির বাঁধন রয়েছে, সেই ভক্তিবদ্ধ শ্রীদামোদরকে বন্দনা করি।

শ্রীদামোদরাষ্টকম্ (Damodarastakam)

ইতীদৃক্‌ স্বলীলাভিরানন্দ-কুণ্ডে
স্বঘোষং নিমজ্জন্ত-মাখ্যাপয়ন্তম্।
      তদীয়েষিতা-জ্ঞেষু ভক্তৈরর্জিতত্বং
                                         পুনঃ প্রেমতস্তং শতাবৃত্তি বন্দে

অনুবাদ: যিনি এইরকম বাল্যলীলার দ্বারা সমস্ত গোকুলবাসীকে আনন্দ সরোবরে নিমজ্জিত করেন এবং যিনি ভগবদৈশ্বর্য-জ্ঞান-পরায়ণ ভক্তসমূহে ‘আমি কর্তৃক পরাজিত অর্থাৎ ভক্তের বশীভূত’- এই তত্ত্ব প্রকাশ করেন, সেই ঈশ্বররূপী দামোদরকে আমি প্রেম-সহকারে শত শতবার বন্দনা করি।

              বরং দেব মোক্ষং ন মোক্ষাবধিং বা
ন চান্যং বৃণেহ্হং‌ বরেশাদপীহ।
 ইদং তে বপুর্নাথ গোপাল-বালং
                                      সদা মে মনস্যা বিরাস্তাং কিমন্যৈঃ ॥ ৪ ॥

অনুবাদ: হে দেব! তুমি সবরকম বরদানে সমর্থ হলেও আমি তোমার কাছে মোক্ষ বা মোক্ষের পরাকাষ্ঠাস্বরূপ শ্রীবৈকুন্ঠলোক বা অন্য কোন বরণীয় বস্তু প্রার্থনা করি না, তবে আমি কেবল এই প্রার্থনা করি যে, এই বৃন্দাবনস্থ তোমার ঐ পূর্ববর্ণিত বালগোপালরূপী শ্রীবিগ্রহ আমার মানসপটে সর্বদা আবির্ভূত হোক। হে প্রভু! যদিও তুমি অন্তর্যামীরূপে সর্বদা হৃদয়ে অবস্থান করছ, তবুও তোমার ঐ শৈশব লীলাময় বালগোপাল মূর্তি সর্বদা সুন্দররূপে আমার হৃদয়ে প্রকটিত হোক।

        ইদং তে মুখাম্ভোজম্‌ অত্যন্ত নীলৈর-
বৃতং কুন্তলৈঃ স্নিগ্ধ-রক্তৈশ্চ গোপ্যা।
মুহুশ্চুম্বিতং বিম্ব-রক্তাধরং মে
                                      মনস্যাবিরাস্তাম্‌ অলং লক্ষা-লাভৈঃ ॥  ॥

অনুবাদ: হে দেব! তোমার যে বদন-কমল অতীব শ্যামল, স্নিগ্ধ ও রক্তবর্ণ কেশসমূহে সমাবৃত এবং তোমার যে বদনকমলস্থ বিম্বফলসদৃশ রক্তবর্ণ অধর মা যশোদা বারবার চুম্বন করছেন, সেই বদনকমলের মধুরিমা আমি আর কি বর্ণন করব? আমার মনোমধ্যে সেই বদন-কমল আবির্ভূত হোক। ঐশ্বর্যাদি অন্যবিধ লক্ষ লক্ষ লাভেও আমার কোন প্রয়োজন নেই- আমি অন্য আর কিছুই চাই না।

  নমো দেব দামোদরানন্ত-বিষ্ণো
প্রসীদ প্রভো দুঃখ-জালাব্ধি-মগ্নম্।
কৃপাদৃষ্টি-বৃষ্ট্যাতি-দীনং বতানু-
                                      গৃহানেশ মাং অজ্ঞ মেধ্যক্ষিদৃশ্যঃ ॥  ॥

অনুবাদ: হে দেব! হে দামোদর! হে অনন্ত! হে বিষ্ণু! আমার প্রতি প্রসন্ন হও। হে প্রভু! হে ঈশ্বর! আমি দুঃখপরম্পরারূপ সমুদ্রে নিমগ্ন হয়ে একেবারে মরণাপন্ন হয়েছি, তুমি কৃপাদৃষ্টিরূপ অমৃত দ্বারা আমার প্রাণ রক্ষা কর।

    কুবেরাত্মজৌ বদ্ধ-মূর্ত্যৈব যদ্বৎ
ত্বয়া মোচিতৌ ভক্তি-ভাজৌ কৃতৌ চ।
তথা প্রেম-ভক্তিং স্বকাং মে প্রয়চ্ছ
ন মোক্ষে গ্রহোমেহ্‌স্তি দামোদরেহ ॥  ॥

অনুবাদ: হে দামোদর! তুমি যেভাবে গো অর্থাৎ গাভী-বন্ধন রজ্জুদ্বারা উদূখলে বদ্ধ হয়ে শাপগ্রস্থ নলকুবের ও মণিগ্রীব নামক দুই কুবের পুত্রদেরকে মুক্ত করে তাদের ভক্তিমান্ করেছ, আমাকেও সেইরূপ প্রেমভক্তি প্রদান কর।

  নমস্তেহ্স্তু দাম্নে স্ফুরদ্দীপ্তি-ধাম্নে
ত্বদীয়োদরায়াথ বিশ্বস্য ধাম্নে।
নমো রাধিকায়ৈ ত্বদীয়-প্রিয়ায়ৈ
                                      নমোহ্‌নন্তলীলায় দেবায় তুভ্যম্ ॥

অনুবাদ: হে দেব! তোমার তেজোময় উদরবন্ধন-রজ্জুতে এবং বিশ্বের আধার-স্বরূপ তোমার উদরে আমার প্রণাম নিবেদন। তোমার প্রিয়তমা শ্রীরাধিকাকে আমি প্রণাম নিবাদন করি এবং অনন্তলীলাময় দেব তোমাকেও  প্রণতি নিবেদন করি।

◼️ প্রতিদিন শ্রীদামোদরাষ্টকম্ পাঠ করে “শ্রীশ্রী-রাধাদামোদর” কে ঘৃত প্রদীপ, অথবা তুলসী কাষ্ট প্রদীপ। নিবেদন করতে হয়।

অষ্টকম্ পাঠ করতে সম্ভব না হলে (হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র) কীর্তন করে দীনদান করা যাবে।

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•─

কেন কার্তিক মাস শ্রেষ্ঠ? 

স্কন্ধপুরান ও পদ্মপুরানে বর্নিত আছে যে, এই কার্তিক (দামোদর)  মাস ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ প্রদান করা মাস। বিশেষরূপে স্নাণ, দান এবং তুলসী পূজা এই কার্তিক মাসে বিশেষ ফলদায়ী হয়। এই কার্তিক মাসে দীপদান করলে পাপ নষ্ট হয়।

স্কন্ধপুরানে বর্নিত আছে যে, এই মাসে যে ব্যক্তি মন্দিরে, ভগবানের বেদীতে, নদীর কিনারে, তুলসীর সামনে এবং শয়নকালে দীপ জ্বালায়, সেই ব্যক্তির সর্বসুখ প্রাপ্ত হয়। এই কার্তিক মাসে ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর সামনে দীপ জ্বালালে এবং উনাদের উপাসনা করলে অসীম পুন্য ফল প্রাপ্ত হয়।

তুলসী ভীষণ পবিত্র এবং আমাদের আস্থা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। এছাড়াও তুলসী অপরিমিত ঔষধীয় গুন যুক্ত। সারা বছর তুলসীতে জল অর্পন করাকে শ্রেষ্ঠ মানা হয়ে থাকে। বিশেষত কার্তিক মাসে তুলসীর নিকট দীপ জ্বালালে সেই ব্যক্তি ভীষণ পুণ্যের ভাগীদার হন এবং তিনি সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মীর কৃপা প্রাপ্ত হন, কেননা তুলসীতে সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মীর নিবাস মানা হয়ে থাকে।

পৌরাণিক কথানুসারে – গুনবতী নামক এক নারী সর্বদা কার্তিক মাসে মন্দির দোয়ার চত্বরে একটি করে তুলসী গাছ লাগাতেন। ঐ পুন্যের কারনে তিনি পর জন্মে সত্যভামা রূপে জন্মগ্রহন করেন এবং সর্বদা কার্তিক মাসের ব্রত পালন করার কারনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পত্নী হওয়ার সৌভাগ্য প্রাপ্ত হন। এটাই হলো তুলসীর আরাধনার ফল।

এই মাসে তুলসী বিবাহের পরম্পরা আছে, যা কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে করা হয়ে থাকে। এতে তুলসীর পাতাকে সাজানো হয় এবং ভগবান শালগ্রামের পূজা করা হয়ে থাকে এবং তুলসী দেবীর বিধিবৎ বিবাহ করা হয়ে থাকে।

তুলসীদেবীর আরাধনা করলে ঘরে সর্বদা সুখ শান্তি বিরাজ করে।

তাই প্রতিটি ভগবৎ ভক্তজন এই কার্তিক মাসে স্নান, ধ্যান, দান করতে করতে তুলসী দেবীর আরাধনা করে অনন্য ভক্তির মাধ্যমে ভগবানের কৃপা লাভ করার সুযোগ গ্রহন করি। এটাই হলো এই মাসের শ্রেষ্ঠতার রহস্য!

🪔দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya)🪔কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya)-4

◼️ দামোদর ব্রত সংকল্প মন্ত্র ◼️

❝ কার্তিকেহহয়ং করিষ্যামি প্রাতস্নানং জনার্দন।
প্রীত্যর্থং তব দেবেশ দামোদর ময়া সহ॥ ❞ ‌

          ━━┉┈┈(শ্রীশ্রী হরিভক্তিবিলাস-১৬/১৭২)

অনুবাদ:  হে জনার্দন! হে দেবেশ! হে দামোদর! শ্রীরাধিকাসহ আপনার প্রীতির জন্য কার্তিকে আমি প্রাতঃস্নান করবো।

◼️ দামোদর প্রার্থনা মন্ত্র ◼️

❝ তব ধ্যানেন দেবেশ জলেহস্মিন স্নাতুমুদ্যতঃ।
তৎ প্রাসাদাচ্চ মে পাপং দামোদর বিনশ্যতু॥ ❞ ‌

          ━━┉┈┈(শ্রীশ্রী হরিভক্তিবিলাস-১৬/১৭৩)

অনুবাদ: হে দেবেশ! তোমার ধ্যান করে আমি এই জলে স্নান করতে উদ্যত। হে দামোদর! তোমার প্রসাদে আমার পাপ বিনাশ হোক।

◼️ দামোদর অৰ্ঘ্য মন্ত্র ◼️

❝ ব্ৰতিনঃ কার্তিকে মাসি স্নাতস্য বিধি বন্মম।
দামোদর গৃহাণার্ঘ্যং দনুজেন্দ্ৰনিসূদন॥ ❞ ‌

          ━━┉┈┈(শ্রীশ্রী হরিভক্তিবিলাস-১৬/১৭৪)

❝ নিত্যে নৈমিত্তিকে কৃৎস্নে কার্তিকে পাপশোষণে।
গৃহাণার্ঘং ময়া দত্তং রাধয়া সহিত হরে॥ ❞ ‌

          ━━┉┈┈(শ্রীশ্রী হরিভক্তিবিলাস-১৬/১৭৫)

অনুবাদ: নিত্যনৈমিত্তিক সমস্ত পাপ শোষণকারী কার্তিক মাসে ব্রতী আমি বিধিবৎ স্নানকারী। হে দামোদর! দনুজেন্দ্রনিসূদন! হে হরে! আমার প্রদত্ত অর্ঘ্য রাধিকাসহ গ্রহন করুন।

🪔🪔 আকাশ দীপ দান মন্ত্ৰ 🪔🪔

❝ দামোদরায় নভসি তুলায়াং লোলয়া সহ।
প্রদীপন্তে প্রযচ্ছামি নমোহনন্তায় বেধসে॥ ❞ ‌

                                      ━━┉┈┈(পদ্মপুরাণ)

অনুবাদ: কার্তিকে আকাশে শ্রীরাধিকার সাথে দামোদরকে প্রদীপ দান করছি, শ্রীঅনন্তকে ও ভগবান শ্রীবিষ্ণুকে প্রনাম নিবেদন করছি।

─•━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━•─

কার্তিকে শ্রীরাধা-দামোদরের পূজাবিধি

কার্তিকে শ্রীরাধা-দামোদরের পূজাবিধি 

পদ্মপুরাণে কার্তিকব্রতে বর্ণিত আছে ──

১। শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তমা, গোপিকাগণ মধ্যে শ্রেষ্ঠা, কার্তিকে শ্রীদামোদর সহিত শ্রীরাধিকার পূজা করা উচিত

২। ব্রজবাসী ব্রাহ্মণ এবং তৎপত্নীকে বস্ত্র, অলঙ্কার ও ভোজনাদি দান দ্বারা পূজা করা কর্তব্য।

৩। হে বিপ্রগণ! কার্তিকে শ্রীরাধিকার সন্তুষ্টির জন্য যিনি শ্রীরাধিকা প্রতিমাকে পূজা করে তার প্রতি শ্রীমান্ দামোদর হরি তুষ্ট হন।

৪। কার্তিকে প্রতিদিন “দামোদরাষ্টকম্‘ স্তোত্র (সত্যব্রত মুনি কথিত) পাঠ করবে, তা দামোদরের অর্চন স্বরূপ ও শ্রীদামোদরের আকর্ষণকারী ।

◼️ দামোদর ব্রতের (নিয়ম সেবা) সংকল্প ◼️
============================

হৃষীকেনং হৃষীকেশ সেবনং ভক্তিরুচ্যতে❞  সর্বান্তকরণে ইন্দ্রিয়সমূহ দ্বারা ইন্দ্রিয়াধিপতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তথা সেবাই ভক্তি। কিভাবে সময়ের সর্বোচ্চ উপযোগ করে ভগবানের সেবা করা যায় সেটাই দামোদর ব্রতের সংকল্প হওয়া উচিত। তবে সর্বাগ্রে এটা খেয়াল রাখা উচিত যে, নিয়মগুলো (সংকল্প) যেন লোকদেখানো বা শুধুই নিয়মমাত্র থেকে না যায়। ব্রতের সময়সীমা পর্যন্ত যেন সেগুলো পালনযোগ্য হয় সেটাও বিবেচনা করতে হবে। শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের প্রীতিবিধানার্থ নানাবিধ ব্রতনিয়ম বা সংকল্প করা যেতে পারে। যেমন-

১। নিত্য মঙ্গলারতি দর্শন ও গুরুপূজায় অংশগ্রহণ ।

২। নিত্য ভাগবত ক্লাসে যোগদান।

৩ । হবিষ্যান্ন গ্রহণ ।

৪। সন্ধ্যায় আরতিতে অংশগ্রহণ ও দামোদরের জন্য দীপদান।

৫ । বেশি সংখ্যক হরিনাম জপ – (২৪, ৩২, ৪৮, ৬৪ বা তদুর্ধ্ব)

৬ । সকাল-সন্ধ্যা প্রতিদিন তুলসী পূজা ও পরিক্রমা

৭ । তিনবেলা মন্দির পরিক্রমা ।

৮ । বেশি সংখ্যক গ্রন্থ প্রচার ।

৯ । প্রতিদিন ‘দামোদরাষ্টকং‘ পাঠ ।

১০ । ‘লীলাপুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ’, ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ’ এবং ‘শ্ৰীমদ্ভাগবত’ প্রভৃতি গ্রন্থাদি পাঠ।

◼️ প্রনিপাত ◼️
============

 সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।

 জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।

 শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ….

ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিণ্ময় আনন্দ অনুভব করবেন:

হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
হরে রাম, হরে রাম, রাম রাম হরে হরে ।।

━━┉┈┈ (১০৮ বার হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হন)

🌸 জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🌸
🌸 জয় শ্রীল গুরুদেব 🌸

◼️ হবিষ্যান্ন ◼️
==========

গৌড়ীয় আশ্চর্যবর্গের অন্যতম শ্রীল সনাতন গোস্বামীকৃত শ্রীশ্রীহরিভক্তিবিলাস গ্রন্থের ১৩ অধ্যায়ের ১০-১৩ নং শ্লোকে হবিষ্যান্নের উপাদান উল্লেখ করা হয়েছে:

নিম্নোক্ত উপাদানগুলো হবিষ্যান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে —

হবিষ্য সাধারণত আতপ চাল এবং মুগ ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়। যারা একাদশী থেকে একাদশী পর্যন্ত চাতুর্মাস্য পালন করেছেন, নিয়মানুযায়ী তাদের কার্তিক মাসের উত্থান একাদশী পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে, তাই তারা তাদের হবিষ্যে মুগ ডাল গ্রহণ করতে পারেন। তবে অধিকাংশ ভক্তগণ পূর্ণিমা থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত চাতুর্মাস্য ব্রত পালন করেন, তাই ভীষ্মপঞ্চক এর হবিষ্যে মুগ ডাল অনুমোদিত হবে না এবং সকল প্রকার তেল পরিত্যাজ্য।

নিম্নলিখিত উপাদানগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে :—
আতপ চাল

ঘি

সৈন্ধব লবণ (Rock salt)

কাঁচকলা

কালা শাক (সাদা পাট;  Corchorus capsularis)

গম

বার্লি

 আলু

 

এছাড়া নিম্নোক্ত ফলসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে :—

(স্কন্দপুরাণে নাগরখণ্ডে অবশ্যই একটি বীজের অথবা কম বীজপূর্ণ ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে) 

আম

কাঁঠাল

লাবালী ফল (Labali fruit; Phyllanthus acidus; Star Gooseberry; অড়বরই)

কেয়া ব্যতীত সকল মূল

শুকনো পিপুল (Pippalii; Piper longum; Long Pepper) ফল মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়

হরিতকি

আমলকি

নারঙ্গ (Naranga; কমলা)

ইক্ষুদ্রব্য (গুড় ব্যতীত)

ননীপূর্ণ গোদুগ্ধ (মাখনযুক্ত গরুর দুধ)

নারিকেলের জল 

হবিষ্যান্নে বর্জনীয় দ্রব্যসমূহ :—

(নিম্নবর্ণিত দ্রব্যগুলো হবিষ্যান্নের অন্তর্ভুক্ত হলেও তা কার্তিক মাসে বর্জন করতে বলা হয়েছে।)

মুগ ডাল

তিল তেল

বেতো শাক

সাত্ত্বিক শাক

মূলা

গাজর

শিম

বরবটি

বিনস্‌

সয়াবিন

◉  বেগুন

মটরশুঁটি 

জিরা

তেঁতুল

─•━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━•─

Read-More_4

আরও পড়ুন: Desire, Karma and Destiny || বাসনা, কর্ম ও কর্মফল

x


Like it? Share with your friends!

261
230 shares, 261 points
daextlwcn_print_scripts(true);

Thanks for your interest joining to Bangla Kobita Club community.

Something went wrong.

Subscribe to Join Our Community List

Community grow with You. [Verify and Confirm your Email]