daextlwcn_print_scripts(false);
Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য🪔_7

🪔Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য🪔

1 min


234
203 shares, 234 points

🕉️ ইসকন প্রতিষ্ঠাতা আচার্য অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন যে, গোবর্ধন পূজায়, গোপাষ্টমীতে আমরা গো-পূজা করি, শুধু আমরাই নই, শুধু দেবতাগণই নন, এমনকি স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গো-পূজা করেন। এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রদর্শনের জন্য তিনি গো-পূজা করতেন এবং গাভীদের যত্ন নিতেন।

🕉️ ঋতুচক্রের আবর্তনে ধরায় হেমন্তের আগমন। হেমন্ত ঋতুর এই প্রথম মাসটিকে নবান্নের আবাহন-এর প্রতীক ভাবা হয়। আসন্ন শীতের জড়তার আগে কৃষকের মনে আনে নব উদ্যম। ধরায় প্রথম হিমেল বাতাসের স্পর্শে পুলকিত হয়ে ওঠে প্রকৃতি। কার্তিক মাসের (দামোদর মাসের) শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি এই বিশেষ দিনটিতে গ্রহ নক্ষত্রের শুভ যোগে এক মাহেন্দ্র ক্ষণে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর কর্তব্যকর্ম (গো-চারণ) শুরু করেছিলেন। এই দিনটিই পবিত্র গোপাষ্টমী তিথি নামে প্রসিদ্ধ।

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে যে সকল ভক্তবৃন্দ সখা-ভেবে আরাধনা করেন তাঁদের কাছে গোপাষ্টমী, পৌগন্ড লীলা বা গোষ্ঠ লীলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

দামোদর মাসে গোপাষ্টমীর সময়সূচী 

 ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী 09 নভেম্বর 2024 শনিবার পালিত হবে গোপাষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী উৎসব।

 বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৩শে কার্ত্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও পড়ুন: দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya)✸কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya)

► আরও পড়ুন: দামোদর কে?✸দামোদর লীলা (দামবন্ধন লীলা✤Damodar Lila)মাহাত্ম্য✸

আরও পড়ুন: দামোদর ব্রত কথা (Damodar Vrat Katha)✸শাস্ত্রীয় নির্দেশাবলি✸শ্রীদামোদরাষ্টকম্ (Damodarastakam)

দামোদর মাসে গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য 

◼️ শ্রীকৃষ্ণকে গোচারণে অনুমতি প্রদান ◼️
============================

👣 দামোদর মাসের বা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীবলরাম ও পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৌগণ্ড (৫-১০) বয়স প্রাপ্ত হন। তখনকার দিনে ৫ বৎসরের আগে পর্যন্ত সময়কে কৌমার বলা হয়, ৫-১০ বছর বয়স পর্যন্তকে পৌগণ্ড বলা হত। যখন কৃষ্ণের ৫ বছর পূর্ণ হলো তখন তিনি তার বাবা নন্দ মহারাজ এবং মা যশোদাকে বারবার বিনতি করছিলেন – “হে পিতা, হে মাতা, আমি গোষ্ঠে যেতে চাই,  আমাকে অনুমতি প্রদান করুন।” কিন্তু গাভী চারণে সন্তানের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে মা যশোদা অনুমতি দিচ্ছেলেন না।

সেই সময় নন্দ মহারাজ এবং সমস্ত গোপেরা এক বৈঠক সভায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করলেন যে, যে সমস্ত বালকের বয়স ৫ বৎসর অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের উপর গোচারণে গোরু চরাবার ভার দেওয়া হবে।

👣 প্রায় আড়াই মাস পর ( কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে) কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গো-চারণে যাওয়ার অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছিলেন। এই দিনটিই পবিত্র গোপাষ্টমী তিথি রূপে পরিচিত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এদিন গোপ সোজেছিলেন তাই এদিনকে বলা হয় গোপাষ্টমীআর গোষ্ঠে গিয়েছিলেন বলে বলা হয় গোষ্ঠাষ্টমী

অবশেষে গোপাষ্টমীর দিনে নন্দমহারাজ গ্রামবাসীদের ডেকে একটি উৎসব আয়োজন করেন। তখন একসাথে কৃষ্ণ-বলরামাদি গোপবালকদের শৃঙ্গ (পশুর শিংদ্বারা নির্মিত বাদ্যযন্ত্রবিশেষ; শিঙা), বেত্র (বেতের ছড়ি), বিষাণ (শিঙা জাতীয় বাদ্যযন্ত্রবিশেষ), বাঁশী গরু বাঁধার দড়ি  প্রদান করেন ও পুরোহিতদের দ্বারা গাভীদের পূজা করেন। মাতা যশোদা কৃষ্ণের কপালে তিলক শোভিত করে দেন এবং কৃষ্ণকে গোষ্ঠে যেতে অনুমতি প্রদান করেন। এর আগে তাঁরা কেবল গো-বৎস (অর্থাৎ বাছুর) চরাতেন। এই দিনে ভক্তগণ গো-পূজা করেন এবং গো-সেবা করেন।

🪔Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য🪔_3

◼️ এই আড়াই মাসের মাহাত্ম্য কি?  ◼️
========================

একদিন পিতা নন্দ মহারাজ ও মাতা যশোদা আলোচনা করে কৃষ্ণ যেভাবে গোচারণের জন্য পীড়াপীড়ি করছে ওকে না বলতে পারছি না, প্রত্যেকবারই না শুনলেই মন খারাপ হয়ে যায়। ওকে মন খারাপ হতে দেখলে আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। তাছাড়া কৃষ্ণ যা বলে ও সেটাই করে। তাই যত সম্ভব তাড়াতাড়ি ওকে গোচারণের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

আচার্যদের মতে, এই আড়াই মাস সময়কালে নন্দ মহারাজ ছোট্ট কৃষ্ণ, বলরামকে প্রথমে বাছুর চরানোর পরে গাভী চরানোর প্রশিক্ষণ দেন, যাতে তাঁরা মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত হয়। তাদের প্রস্তুত হতে দেখে মা যশোদা আস্তে আস্তে মানসিকভাবে শক্ত হয়। আড়াই মাস পরে মিলিতভাবে তারা সম্মত হয় গোচারণের জন্য।    

◼️ গোপাষ্টমীতে গোচারণ লীলা ◼️
========================

👣 গোপাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বলরাম তাঁরা গাভীসমূহের দায়িত্ব ভার লাভ করে বৃন্দাবনের সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে লাগলেন এবং তাঁদের পাদস্পর্শে বৃন্দাবনের ধূলিকণা পবিত্র হল।

👣 শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম মহা আনন্দে যমুনার কূলে গাভী এবং তাদের বাছুর সহ গোপসখাদের সঙ্গ সুখ উপভোগ করছিলেন। তাঁরা যে সমস্ত গাভীদের তত্ত্বাবধান করতেন, তাদের বিভিন্ন নাম ছিল এবং কৃষ্ণ বলরাম স্নেহভরে তাদের সেই নাম ধরে ডাকতেন। কৃষ্ণের ডাক শুনে গাভীরা পুলকিত হত, তারা ‘হাম্বা’ রবে সেই ডাকের সাড়া দিয়ে তাদের ভাব বিনিময় করতে এবং গোপবালকরা হৃদয়ভরে পুলকিত নয়নে তাদের ভাব বিনিময় আস্বাদন করত।

🪔Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য🪔_5

👣 সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়লে বড় বৃক্ষের নীচে বা কোন কুণ্ডের (জলাশয়) পাশে বসে অনুকূল জায়গা খুঁজে বিশ্রাম করত। ষড়ঋতু আবহাওয়া পরিবর্তন করে তাঁদের আলিঙ্গন করতে চাইত কখনও রোদ হয়ে, কখনও বর্ষার বৃষ্টি হয়ে, কখনও হেমন্তের হিমেল হাওয়া হয়ে কখনও বা শীতের শিশির পরশ হয়ে। বলরাম খুব পরিশ্রান্ত হয়ে বসে পড়লে, সকলে বসে পড়ত। তিনি কোন গোপবালকের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লে পাশে বসা কৃষ্ণ তাঁর দাদার পা টিপে দিতেন। এমন নয় যে, তিনি পরম শক্তিমান, পরম ঐশ্বর্যবান ভগবান বলে তিনি কেবলই সেবার যোগ্য, সারাক্ষণ সেবা প্রাপ্ত হবেন এমন নয়, তিনি সর্বদা ভক্তের সেবার জন্য তৎপর। এখান থেকে শিক্ষণীয় যে, তিনি ভক্তবৎসল, ভক্তের সেবা, ভক্তের রক্ষা সর্বক্ষণ করেন… সে অর্জুন হোক, দ্রৌপদী হোক, কিংবা সুদামাই হোক।

👣 সেইসঙ্গে ক্লান্তি দূর করার জন্য বনের মধ্যে বড় বড় গাছের সারি ডালপালা দুলিয়ে বিশেষত তালপাতা জোরে জোরে হাওয়া করত। ফুল তাদের স্পর্শ করার আনন্দে ঝরে ঝরে পড়ত, পরিবেশকে মনোরম করার জন্য পাখিরা কূজন করত। ময়ূর থেকে থেকে তীক্ষ্ণ কেকা ধ্বনিতে প্রকৃতিকে সজাগ করত, তারা যেন সকলে ভগবান ও পার্ষদদের সেবায় নিজেদেরকে উজাড় করে দেয়। সবাই ব্যস্ত নিষ্কাম সেবার ভাবনা নিয়ে। এখান থেকে শিক্ষণীয় এই যে, ভগবানের সেবা নিষ্কাম মনোভাব নিয়ে সর্বদা করা উচিৎ।  

👣 আবার কৃষ্ণ যখন ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, অবসন্ন হয়ে গাছের গুঁড়িতে মাথা রেখে শুয়ে বিশ্রাম করতেন কিংবা গোপবালকদের কোলে মাথা রেখে বিশ্রাম করতেন সে অনুভূতি অকল্পনীয়। ভগবানের স্পর্শ পাওয়ার জন্য প্রকৃতি শিহরিত, যেন সৃষ্টি (প্রকৃতি) অপেক্ষমাণ স্রষ্টার (শ্রীকৃষ্ণ) একটু কৃপা পাবার জন্য। গোপবালকেরা ভগবানের রূপে (কানাই-এর কত সুন্দর মুখ, তাঁর অপরূপ টানা টানা চঞ্চল চোখ দুটি কান পর্যন্ত প্রসারিত, অপার্থিব তাঁর গায়ের রং ইত্যাদি) ও গুণে ( আমাদের কানাই কত সহজ সরল বিনম্র, পরোপকারী, বিপদ আপদ থেকে রক্ষাকারী, শত্রু বিনাশকারী ইত্যাদি) এতটাই মুগ্ধ যে তাদের দলনেতার সেবার জন্য মুখিয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে কে আগে পাবে একটু সেবার সুযোগ? সেবার সুযোগে প্রিয়তম বন্ধুকে একটু স্পর্শ করা যাবে। এখান থেকে শিক্ষণীয় হল, ভগবানের সেবাই হল মুখ্য, আমাদের প্রতিনিয়ত ভগবানের সেবা করা উচিৎ। এটাই হল সর্বশ্রেষ্ঠ কর্ম অকাম কর্ম

👣 বলার অপেক্ষা না করেই কয়েকজন গোপবালক এসে কৃষ্ণের পা টিপতে শুরু করে। আর কয়েকজন তাড়াতাড়ি কয়েকটা গাছের বড় পাতা ছিঁড়ে সেই পাতা দিয়ে হাওয়া করতে শুরু করে। বাকি গোপসখারা দাঁড়িয়ে ভাবতে শুরু করে হাওয়া দেওয়ার তো আর জায়গা নেই! কি করা যায়? তাদের কেউ মধুর স্বরে গান গাইতে শুরু করে, কেউ খেলা করতে শুরু করে। কেউ বা নাচে, কেউ আনন্দে লম্ফ দেয়। এখানে শিক্ষণীয় হল, যিনি সেবা করতে চান, তাকে বলে দিতে হয় না কি সেবা করতে হবে, তিনি নিজেই খুঁজে নেন। এইভাবে কৃষ্ণের ক্লান্তি দূর হত, তখন কৃষ্ণ তাদের হাত ধরে সঙ্গসুখ উপভোগ করতেন। হাসতে হাসতে তাদের কার্যকলাপের প্রশংসা করতেন। কৃষ্ণ একজন সাধারণ গোপবালকের মতো লীলাবিলাস করলেও তাঁর অন্তরঙ্গা শক্তির প্রভাবে তাঁর পরমেশ্বরতা প্রদর্শন করেছেন। এখানে শিক্ষণীয় হল, যিনি সেবা করতে ইচ্ছুক তিনি ভালোভাবে জানেন কিসে ও কিভাবে ভগবান খুশি হন। উন্নত সাত্ত্বিক ভাবটাই আসল, ভগবান ওটাই গ্রহণ করে খুশি হন।

🪔Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য🪔_4

👣 গোচারণের সময় কৃষ্ণ ও বলরাম বাঁশি বাজিয়ে গোপসখাদের, বনের ফূল, লতা, পাতা, ময়ূর, হরিণ সকলকে সঙ্গসুখ দিতেন। ফলভারে নত হয়ে গাছ মাটি স্পর্শ করে তাঁদের শ্রীপাদপদ্মে প্রণাম জানাত। তাঁরা যতদূর যেতেন ভ্রমররা নেচে নেচে তাঁদের সাথে যেতে যেতে গুঞ্জন করত। ভীরু হরিণগুলি স্নেহভরে লাজুক নয়নে তাঁদের সাথে সাথে যেত। বনের পাখিরা, কোকিলেরা মহানন্দে ডেকে ডেকে তাঁদেরকে বরণ করত। ব্রজগোপিকারা কত সৌভাগ্যবতী, তাঁরা কৃষ্ণের রূপ দর্শন করতে পারছেন। কৃষ্ণ গোচারণে যাবেন রাধারাণী সঙ্গে থাকবে না, তা কি করে হয়? শক্তি (রাধা) ও শক্তিমান (কৃষ্ণ)-কে কখনও কি আলাদা করা যায়! যেমন সূর্য (শক্তিমান) থেকে সূর্যালোককে (শক্তি) আলাদা করা যায় না, চিনি (শক্তিমান) থেকে মিষ্টতা (শক্তি) আলাদা করা যায় না, তেমনি চুম্বক (শক্তিমান) থেকে চৌম্বকত্বকে (শক্তি) আলাদা করা যায় না।    

👣 গোচারণ থেকে ফেরার পথে ব্রজবাসীরা দেখলেন যে, নয় লক্ষ গাভীদের পায়ে পায়ে বিক্ষিপ্ত ধুলিরাশি মেঘের আকার ধারণ করেছে; ময়ূর, কোকিল সহ পাখিদের কূজনে পরিবেশ মুখরিত হয়েছে;  তৃণ, গুল্ম, লতাদের মনোরম সুবাসে প্রকৃতি মেতে উঠেছে; কৃষ্ণ, বলরাম ও গোপবালকরা পরস্পরের দিকে মনোহর কটাক্ষ দৃষ্টিপাতে ভাব আদান প্রদান করছেন; ব্রজ যুবতীদের উৎফূল্লতা প্রকাশিত হচ্ছে; বাছুরের ডাক, গোপবালকদের আনন্দোচ্ছ্বাস ও হর্ষধ্বনি, সাথে মধুর বেনু ধ্বনি বৃন্দাবনের আকাশ বাতাসকে মুখরিত, পরিপূর্ণ করেছে।

👣 গোচারণ থেকে পরিশ্রান্ত হয়ে কৃষ্ণ, বলরাম ফিরে এলে মা যশোদা ও রোহিনীদেবী কোলে তুলে নিলেন এবং তাঁদের বাসনা চরিতার্থ করলেন। তাঁদের পুত্রদের স্নেহ করলেন এবং সেইসঙ্গে তাঁদের আশীর্বাদ করলেন। এইভাবে গাভীসমূহের দায়িত্বভার লাভ করে কৃষ্ণ ও বলরাম সারাদিন বৃন্দাবনে ঘুরে বেড়ালেন এবং তাঁদের পদধূলিতে ব্রজভূমি পবিত্র হলো।

◼️ শ্রী্মতি রাধারানীর ছদ্মবেশ গো-চারণ ◼️
============================

👣 যেহেতু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার ভ্রাতা বলরাম ও তার সকল বন্ধুদের সাথে প্রথম গো-চারণে যাবেন। সে কারণে আনন্দটাই হবে অন্যরকম। আর এদিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি রাধারাণী ভাবছেন,  কৃষ্ণকে না জানি কত সুন্দর লাগবে আমি কি দেখতে পারবো না? কৃষ্ণ কত সুন্দর করে সেজেছেন? কৃষ্ণ প্রথমদিন গো-চারণে যাবেন কত সুন্দর করে তিনি গাভীদের চারণ করবেন? কত সুন্দর করে তিনি বৃন্দাবন পদচারণা করবেন? আমরা কি সেটা দেখতে পারবো না?

যেহেতু মেয়েদের গোষ্ঠে যাবার অনুমতি নেই, তাই গোপীদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তখন তিনি তার সখীদের নিয়ে ভাবছিলেন যে ━ কি করা যেতে পারে? ইতিমধ্যে রাধারাণী ও গোপীরা গোচরনের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

🪔Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী)মাহাত্ম্য🪔_6

👣 গোপীকারা লক্ষ্য করলেন যে শ্রীমতি রাধারাণীকে দেখতে অনেকটা গোপসখা সুবলের মতো। তাঁরা রাধারাণীকে সুবলের মতো মাথায় পাপড়, হাতে লাঠি, ধুতি-পোশাক পরিয়ে এবং নিজেরাও গোপবালকদের মতো বেশ ধারণ করে ছদ্মবেশে শ্রীকৃষ্ণের সাথে যোগ দিয়েছিলেন এবং গোচারণে কৃষ্ণসান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। কৃষ্ণ তাঁর বাঁশী বাজাতে বাজাতে সেই গোপিকাদের দেহকান্তি ও হাস্যোজ্জ্বল সুন্দর মুখ দর্শন করে পরম আনন্দ উপভোগ করতে লাগলেন। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি ━ এই বিশেষ দিনটিতেই গোচারণের কারণে গোপবেশে রাধারাণী, কৃষ্ণসান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। শক্তি ও শক্তিমানের সান্নিধ্যে সেই দিনটি অর্থাৎ গোপাষ্টমী তিথিটি পরিপূর্ণতা লাভ করে। শুধু তাই নয়, এদিন শ্রীমতি রাধারাণী ও অন্যান্য সখীরা তাদের শ্রীপাদপদ্ম দর্শন দান করেন।  শ্রীমতি রাধারাণীর চরণ দর্শন যা ব্রহ্মা ও দেবাতাদের পক্ষেও দূর্লভ।

👣 যেহেতু বছরের অন্যসময় তাঁদের শ্রীচরণকমল প্রদর্শিত হয় না, তাই এই বিশেষ দিনে গোপাষ্টমীর দিন শ্রীমতি রাধারানী ও অন্যান্য গোপীকাগণের শ্রীচরণকমল দর্শণ লাভ হয়। তাই এদিনটি অত্যান্ত মহিমান্বিত। এদিন হতেই গোর্বধণ পরিক্রমা শুরু হয় এবং একই সাথে মথুরা ও বৃন্দাবনের যুগল পরিক্রমা শুরু হয়। 

◼️ গোপাষ্টমী পূজা বিধি ◼️
==================

ভক্তদের উচিৎ গোপাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধার পূজার পাশাপাশি গাভী মাতার পূজা করা। গাভীদের উত্তম ঘাস ও ফলমূল সেবন (গো-গ্রাসদান) করিয়ে তাদের পুজা ও আরতি নিবেদন করা (গো-পূজন), পরিক্রমা করা (গো-প্রদক্ষিণ) এবং গোশালা মার্জন করা। এছাড়া গরুর পা ছুঁয়ে প্রনাম করবেন। সম্ভব হলে এই দিন গাভীকে নিজে হাতে গুড় নিবেদন করবেন।

ভক্তদের বিশ্বাস এমনটা করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীমতী রাধারানীর অশেষ কৃপা প্রাপ্ত হয় ফলে ভক্তদের অন্ন এবং আর্থিক সমস্যা দূর হয়। সেই সাথে, ভক্তদের নানা গ্রহদোষ কেটে যায়।

─•━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━•─

গোপাষ্টমী উৎসবের মাহাত্ম্য ও শিক্ষা 

🕉️ ভারতবর্ষের প্রায় সব উৎসব ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। শ্রীকৃষ্ণের প্রতিটি লীলাই মনুষ্যকুলের কাছে শিক্ষণীয়, গোচারণের দায়িত্ব পাওয়াকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠাষ্টমী উৎসবও এমনই একটা শিক্ষণীয় লীলা।

🕉️ শ্রীকৃষ্ণের প্রতিটি কর্মকে কর্তব্যসাধন করতে হলে সেক্ষেত্রে কঠোর সংগ্রামের মধ্যে কর্মের প্রয়োজন হবে। কঠিন পথের কঠোর সংগ্রামের মধ্যে কর্মের প্রয়োজন হবে। কঠিন পথের চড়াই উৎরাই ভেঙ্গে সকলের জন্য, সকলকে আনন্দ উৎসবে, মিলন মেলায় যোগ দেওয়ার জন্যই গোপাষ্টমী লীলা করেছেন।

Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য🪔_7 (2)

🕉️ প্রত্যেকবারই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কঠিন জীবন সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে কঠিন লড়াই করেছেন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে। কারগারে জন্মগ্রহণ করলেন অন্যায় অবিচার থেকে সকলকে মুক্তি দেওয়া জন্য। নন্দের বাড়িতে শিশুটি বড় হয়ে উঠল তার কত না কীর্তিকলাপ-যে কৃষ্ণ দধি, মাখন, ক্ষীর চুরি করছে, দামোদর লীলা করেছেন আবার সেই কৃষ্ণ কখনও বা চুরি করছে গোপাঙ্গনাদের বস্ত্র, কালীয় দমন, পুতনা রাক্ষসী বধ, অঘাসুর বধ আবার গিরিগোবর্ধন উত্তোলন সব লীলার মধ্যেই তিনি দিয়েছেন শিক্ষা।

দ্বারকায় ক্ষত্রিয় বেশে রাজকার্য করেছেন, আবার বৃন্দাবনে মাধুর্যলীলা করেছেন। আবার তিনিই কুরু-পাণ্ডবদের যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, রণকৌশল শিখিয়েছেন, যুদ্ধের প্রস্তুতিতে অর্জুনকে তত্ত্বকথা (ভগবতগীতা) শোনালেন, অর্জুনের মাধ্যমে তিনি সকলের জন্য গীতার উপদেশ দিলেন। সেই কৃষ্ণ গোচারণে যান। দামোদর লীলাতে সেই কৃষ্ণকে মা যশোদা দড়ি দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করেন, কিন্তু বাঁধতে আর পারে না। যতই দড়ি জোড়া দেয় প্রত্যেকবারই দু আঙ্গুল ছোট পড়ে। তিনি গোচারণের রাখাল আবার সেই কৃষ্ণ মাধুর্য রসের শ্রেষ্ঠ লীলা করেন। মিলন বিরহের শ্রেষ্ঠ কীর্তি গোপীদের সাথে। তাঁকে কি অত সহজে পাওয়া যায়। তাকে চাওয়ার মতো চাইতে হবে, ডাকার মতো ডাকতে হবে, ভক্তির বাঁধনে বাঁধতে হবে। নইলে তাঁকে কি পাওয়া যায়? প্রেমের মধ্যেও অনেক স্বার্থের গন্ধ থাকে। নিষ্কাম পর্যায়ে উন্নীত না হলে ঐকান্তিক প্রেমের নিদর্শন পাওয়া সম্ভব নয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠ লীলা নরলীলা, ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে তার সাথে খেলা করা।

🕉️ ব্রজভূমিতে ব্রজবাসীরা, ভক্তবৃন্দেরা আজও অনুভব করে রোমাঞ্চিত হন ━ এই তো এই মাটিতে, এই ক্ষেতে, এই স্থানে ভগবান  শ্রীকৃষ্ণ গোচারণভূমিতে গরু চড়িয়েছেন, গাছের ডালে বসে বাঁশি বাজিয়েছেন। মাথায় পাগড়ী আর হাতে রাখালের লাঠি নিয়ে রাখালের বেশে গাভীদের সাথে বিচরণ করেছেন মাঠে ঘাটে। আবার এই ব্রজভূমিতে শ্রীমতি রাধারাণী ও সখীবৃন্দদের সাথে কতই না কীর্তিকলাপ করেছেন। আবার শ্রীমতি রাধারাণী ও সখীবৃন্দ গোপবেশে শ্রীকৃষ্ণের সাথে যোগ দিয়েছিলেন এবং গোচারণে কৃষ্ণসান্নিধ্য লাভ করেছিলেন।

আচার্যরা এই লীলার মাধুর্যতা সুন্দরভাবে বর্ণন করেছেন, সেদিন আনন্দে যেন তাঁদের চরণকমল কাজড় দিয়ে ঢাকতে ভুলে গেছেন !! হতে পারে তাড়াতাড়ি নতুন খেলায়, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার কর্তব্য-র পথে চরণকমল দর্শন দান করেছেন ব্রজভূমির, ব্রজধূলি মাখামাখি তাতে, কতই না রেণু রেণু ঝরে পড়ছে, কতই না কৃপা বর্ষণ করেছেন এই অধমদের জন্য। আজও আমরা সেই ধূলিকণা মাথায় দিয়ে সেই লীলা আস্বাদন করে বিভোর হই, উদ্ধার হই।

🕉️ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সমস্ত কর্তব্য কর্ম করেছেন জাগতিক মানুষদের জন্য কেননা যদি তিনি বিধি-নিষেধের আচরণ না করেন, তবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সকলেই স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠবে। তিনি জানেন তাঁর সৃষ্টি মানুষেদের সীমাবদ্ধতা কতখানি! তারা ভুল করবেই, পাপ করবেই, অজ্ঞানী হয়েও জ্ঞানী ভাববেই। তারা সামান্য জীব হয়েও হয় তাঁকে অস্বীকার করবে, নয়ত তাঁর সমতুল্য ভেবে সাধ্যিমত কিছুটা অনুকরণ করবে।

🕉️ কৃষ্ণের বহুমূখী চরিত্রের কর্মধারা আমাদের শিক্ষা দেয় আমাদের সমাজ জীবন কেমন হওয়া উচিত, আমাদের ব্যাক্তিগত জীবন কেমন হওয়া উচিত, এই জড় জগত থেকে মুক্ত হতে হলে তাঁর কৃপা পেতে হবে, কৃপা পেতে হলে কৃষ্ণভাবনা, কৃষ্ণসেবা, কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহন, কৃষ্ণনাম জপ, জীবনকে কৃষ্ণময় করতে হবে। কর্তব্য কর্ম না করে, কেউই থাকতে পারে না। আত্মা ━ সেও সব সময় কর্মরত থাকে। আত্মার উপস্থিতি না থাকলে আমাদের এই জড়দেহ চলাফেরা করতে পারে না। আত্মাও কর্তব্যকর্ম থেকে এক মূহুর্তের জন্যও বিরত হতে পারে না। সাধুর ছদ্মবেশ ধরে কর্তব্য কর্ম না করে, উপর তলায় বিশ্রাম বৈভবের উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন ও ভোগ তৃপ্তির জন্য লোক ঠকানোর চাইতে সাধারণ জীবন যাপন, কর্তব্য কর্ম সম্পাদন এবং স্বকর্মে নিযুক্ত থেকে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধন কারা শত সহস্র গুণে ভাল। আর এই স্বকর্মটি হল কৃষ্ণসেবাকৃষ্ণচিন্তা। কৃষ্ণ আমাদের জন্য যেসব নির্দেশ প্রদান করে গিয়েছেন তা হৃদয়ঙ্গম করার চেষ্ঠা করা।

🕉️ শ্রীকৃষ্ণ এই পৃথিবীতে অবস্থান করার সময়ে ঘরে বাইরে সর্বত্র গৃহস্থোচিত সমস্ত ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করেছিলেন। যে সমস্ত মানুষ শাস্ত্রের নির্দেশ অনুসারে কর্তব্য কর্ম অনুষ্ঠান করেন ━ তাঁরা কর্মবন্ধন থেকে মুক্ত হন। অতএব কর্মবন্ধনের প্রতি আসক্ত রহিত হয়ে কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করার ফলেই পরতত্ত্বকে লাভ করতে পারা যায়। যিনি সকল রসের আধার, সকল অগতির গতি, সেই রসরাজ শ্রীকৃষ্ণ কর্তব্য কর্ম করেছেন জাগতিক মানুষদের জন্য, তাঁর গোচারণের দায়িত্বভার গ্রহণ করার ঘটনাটিও আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য। পারমার্থিক উন্নতি লাভের জন্য সুশৃঙ্গল সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয় এবং কর্তব্যকর্ম সম্পাদনের জন্য প্রতিটি মানুষকে নিয়ম ও শৃঙ্খলা অনুসরণ করে সুসংহত জীবন যাপন করতে হয়। প্রতিটি মানুষ তার প্রতিদিনের কর্তব্যগুলি না করলে জীবের কোন বৃত্তি বা অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটতে পারে না।

🪔Gopashtami❖গোপাষ্টমী (গোপ অষ্টমী বা গোষ্ঠাষ্টমী) মাহাত্ম্য🪔_1

🕉️ আগেকার দিনের মানুষরা ছিলেন ধর্মপ্রাণ সম্পন্ন। বিশেষ করে তারা ভগবানের সান্নিধ্য ভগবানের কৃপায়, প্রেম মাধুর্য লীলায়, ভক্তিমার্গে চরম পর্যায়ে উন্নততর ভক্ত ছিলেন। তখন সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে মার্জিত রুচিবোধ ও শালীনতা বোধ বজায় থাকত। আজকের শতাব্দীতে পরিস্থিতি জাগতিক নিয়মে তার থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে। পশ্চিমী জড় ভোগ সুখের পশ্চিমী কু-বাতাসের স্পর্শে একটা কৃত্রিম বিজাতীয় উচ্ছৃঙ্খল কার্যকর, ভোগসর্বস্ব সমাজ সংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে। সমাজ সংস্কৃতির কু-প্রভাবে আজ নব্য যৌবন সম্প্রদায় বিভ্রান্ত, হতোদ্যম।

🕉️ অনাদিকাল থেকে ভারতবর্ষে গো-মাতাকে সেবা ও পূজা করার মধ্যে দিয়ে বিশেষ ভাবে গো-জাতির উন্নতিকল্পে সুরক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা ছিল। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেরই অবস্থানুযায়ী সুব্যবস্থা করা। গ্রামে গ্রামে গোচারণ ক্ষেত্র, গোজাতি সংরক্ষণ ও তাদের উন্নতিকল্পের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বর্তমান পৃথিবীতে অনেক কসাইখানা দেখা যায়। আগেকার অসুরের চেয়ে ভয়ংকর অসুরেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা গোহত্যা করতে চায়। তাদের মনে রাখা উচিত যে গোহত্যা করে তার মাংসে যা প্রোটিন ভিটামিন হবে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ভিটামিন, প্রোটিন আছে গোজাত উৎপন্ন সমূহে। আমাদের গোজাতি সংরক্ষণ ও তাদের উন্নতিকল্পের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সকল সম্প্রদায়ের মানুষ গো-মাতার দুগ্ধ খেয়ে তার পুষ্টির যোগান মেটায়। গোজাত উৎপন্ন সমূহ আমাদের অনেক প্রয়োজন। গোদুগ্ধ খেয়ে শিশুদের বল বৃদ্ধি পায়। সেই গোমাতাকে কিভাবে কসাইখানায় হত্যা করা হয়। তুমি তোমার মা’কে হত্যা করতে পারবে? গরুর দুধ খেয়ে বড় হয়েছ। গোমাতাও তোমার মায়ের মতো। গোহত্যার অনিষ্টকারীতা সম্পর্কে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে বোঝাতে হবে, বুঝতে হবে। গোমূত্র এবং গোবরেরও অনেক ঔষধি গুণ আছে, যা আমাদের অনেক রোগের পক্ষে ভাল। গোসেবা করলে আমরা জাগাতিক, অর্থনৈতিক, দৈহিক, পারমার্থিকভাবে লাভবান হতে পারি। আসুন আমরাও তেত্রিশ কোটি দেব-দেবতাদের সান্নিধ্য লাভ করি এবং তাঁদের রাজ, ব্রজভূমির গোচারণের রাজা, সকলের রাজার প্রেমময় কৃপা লাভ করি। আসুন সকলে প্রণাম করি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা করে –

❝ ওঁ নমো ব্রাহ্মণ্য দেবায় গোব্রাহ্মণ্য হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ॥ ❞ 

🕉️ ভক্ত ভগবানকে পেতে চান নানভাবে, নানা রূপে ━ কেউ পুত্র হিসেবে, কেউ সখা হিসেবে, কেউ বা প্রভু হিসেবে। শ্রীকৃষ্ণ সর্বকারণের কারণ। তাঁর এই বিরাট জগৎ সংসার, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। তাঁর বিরাট লীলা যুগ যুগান্তর ধরে চলেই আসছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। শ্রীকৃষ্ণের লীলা, তাঁর বংশীধ্বনি, তাঁর পদচারণার ধ্বনি আজও চলছে। ব্রজভূমিতে আজও সেই বংশীধ্বনি শোনা যায়। বৃন্দাবনের ব্রজভূমির ধূলিকনায় পাহাড়ে, নদীতে, জলে, স্থলে, লতায় পতায়, ফুলে ফলে অবিরাম লীলা খেলা চলছে। ব্রজধামের ধূলিকণায় গোপীদের প্রেম মাধুর্য্য লীলা আজও রেণু রেণু হয়ে ঝরে পড়ছে। ভক্তগনেরা সেইসব লীলা আস্বাদন করে আজও বিভোর।

─•━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━•─

Read-More_4

আরও পড়ুন: দামোদর মাসে দীপদান মাহাত্ম্য (Deepdan Mahatmya)✸কার্তিক মাহাত্ম্য (Kartik Mahatmya)

আরও পড়ুন: দামোদর ব্রত কথা (Damodar Vrat Katha)✸শাস্ত্রীয় নির্দেশাবলি✸শ্রীদামোদরাষ্টকম্ (Damodarastakam)

আরও পড়ুন: Who is Devi Durga? দেবী দুর্গা কে? দশ হাতে অস্ত্র কি কি?

আরও পড়ুন:দামোদর কে?✸দামোদর লীলা (দামবন্ধন লীলা✤Damodar Lila)মাহাত্ম্য✸

 

x


Like it? Share with your friends!

234
203 shares, 234 points
daextlwcn_print_scripts(true);

Thanks for your interest joining to Bangla Kobita Club community.

Something went wrong.

Subscribe to Join Our Community List

Community grow with You. [Verify and Confirm your Email]